যশোর ব্যুরো : যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন হত্যা মামলায় চার্জশিটের উপর করা বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এ আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রী চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের আটকের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী নিহতের ভাই আলতাফ বিশ্বাস জড়িত আসামিদের নাম চার্জশিটে না আসায় আদালতে না রাজি আবেদন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ২০১৪ সালের ২৫ মে সন্ধ্যার পর স্থানীয় রাজারহাটের একটি চামড়ার আড়তে দলীয় লোকজনের সাথে কথাবার্তা বলছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তার উপর গুলি ও বোমা হামলা চালায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ জুন মারা যান তিনি। বোমা হামলার পর আলমগীরের ভাই আলতাফ বিশ্বাস বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তিনি মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। আটক আসামিদের জবানবন্দি ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুলাই ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন ডিবি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের মোল্লা।
কিন্তু মামলার বাদী নিহতের ভাই আলতাফ বিশ্বাস আদালতে চার্জশিটের উপর নারাজি আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহত আলমগীরের দেয়া জবানবন্দিতে উল্লেখিত অনেক আসামিকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। এমনকি এক আসামির দেয়া আদালতের জবানবন্দিতে আলাউদ্দিন মুকুলের নাম আসলেও তাকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি এ হত্যাকা-ের সাথে জড়িত সকল আসামিকে পুনঃতদন্তের মাধ্যমের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আদালতে এ নারাজি আবেদন করেছেন। বুধবার ধার্য দিনে এ মামলার চার্জশিটের উপর নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করে চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন