একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে অভিযোগ করে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারিও দিয়েছে দলটি। এরপরও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ইতোমধ্যে ১১০ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই কারণে গতকাল (বুধবার) নতুন করে আরও ১৬ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নড়াইল জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বাবু অশোক কুমার কুন্ডু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহা বেগম, লোহাগড়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, পীরগাছা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোঃ ফরহাদ হোসেন অনু, চাঁদপুর মহিলা দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রেবেকা সুলতানা, জুরী বিএনপির আজিবুন খানম, বড়লেখা মহিলা দলের আমেনা বেগম ডলি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ আবদুস কুদ্দস স্বপন, কিশোরগঞ্জ বিএনপির কামরুন্নার লুনা, কিশোরগঞ্জ মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা বেগম, তাড়াইল বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, নিকলী মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেখা আখতার, ভৈরব যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপির সহ-সভাপতি বাবর আলী বিশ্বাস, ভোলাহাট মহিলা দলের মোছাঃ রেশমাতুল আরজ রেখা ও মোছাঃ শাহনাজ খাতুনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের জন্য এ্যাড. এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান ও এ্যাড. মনির হোসেনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।