শৈলকুপায় সংঘর্ষ কালীগঞ্জে জাল ভোট প্রদানসহ হতাশাজনক ভোটার অনুপস্থিতির মধ্য দিয়ে রোববার ঝিনাইদহের চার উপজেলায় নিরুত্তাপ ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তবে নির্বাচনী পরিবেশ ছিল একেবারেই শান্ত। ছিল না কোন কোলাহক মুখর পরিবেশ। ভোটাররা নীরবে এসে ভোট দিয়ে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করতে দেখা যায়। শৈলকুপার মীর্জাপুর কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৫ জন আহত হন। এ খবর নিশ্চিত করেন শৈলকূপা থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ উদ্দিন। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরবা মাদ্রাসা কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই উপজেলার দুলালমুন্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রিজাইডিং অফিসার মাসুমকে মারপিট করা হয়। পুলিশ এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করে। কালীগঞ্জ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আগেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু। এই উপজেলায় শুধু ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে ভোট হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদরের ডেফলবাড়ি কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায় ভোটার শুন্য কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ওমর ফারুক জানান, পৌনে দুই ঘন্টায় ১৮২৯ ভোটের মধ্যে ৫০ জন ভোট দিয়েছে। একই চিত্র পাওয়া গেছে সদরের বংকিরা হাই স্কুল কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে দুপুরে ১টা পর্যন্ত ২৬’শ ভোটের মধ্যে ৩’শ জন ভোট দেয়। চান্দুয়ালী ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পরিতোষ কুমার জানান, বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ১৯০৭ ভোটারের মধ্যে ৪’শ জন ভোট দিয়েছে। তিনি জানান ভোটারদের উপস্থিতির হার তুলনামুলক অনেক কম। ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি। তবে বেশির ভাগ কেন্দ্রেই লম্বা লাইন চোখে পড়েনি। বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপায় ভোট গননা চলছিলো। তাতে নৌকার সাথে একই দলের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন