রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে মো. কাওসার (২২) নামে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার ভোর ৫টার দিকে চেয়ারম্যানবাড়ির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহত কাওসারের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায়। তিনি ও রনি নামে আরেক রিকসাচালক কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এদিকে, পৃথক ঘটনায় রাজধানীতে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, গতকাল ভোরে চেয়ারম্যান বাড়ির মোড়ে রনি (২১) তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, রনি ও কাওসার বন্ধু। তারা দু’জনে একই এলাকায় রিকশা চালায় এবং দু’জনে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব বা হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটি জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জান্য সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে।
দুইজনের লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় খিলক্ষেত ও ভাটারা থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ব্যাক্তিরা হলেন- খিলক্ষেতের স্কুলপাড়া এলাকার মাকসুদা বেগম (৩৬) ও ভাটারা কুড়িলের জহিরুল ইসলাম রিফাত (২০)। গতকাল ভোরে লাশ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হসপাতালের মর্গে পাঠায় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
খিলক্ষেত থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন, মৃত মকসুদা চাঁদপুর সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের ফজলু ভুইয়ার মেয়ে। তিনি স্কুলপাড়া ক/২২ নম্বর বাসায় থাকতেন। গত রোববার রাত ১২টার দিকে বাসার ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, ভাটারা থানার এসআই আলী হাসান বলেন, জহিরুল পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার রাজপাশা গ্রামের আব্দুল হক মৃধার ছেলে। তিনি কুড়িল ক-৪৬/১ নম্বর বাসায় থাকতেন। পুলিশ জানায়, রোববার রাত ২টায় বাসার ৫ম তলার একটি রুম থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন, দু’জনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন