অন্যদের সাথে মিলে প্রতিবেশিকে খুন করেন। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে যান কারাগারে। জামিনে রেব হয়ে এসে একাই খুন করেন স্বামীকে। এরপর কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে পালিয়ে আসেন চট্টগ্রামে। তবে তার শেষ রক্ষা হয়নি, র্যাবের অভিযানে ধরা পড়েছেন পর পর দুটি হত্যা মামলার আসামি রুমি আক্তার (২৫)। মীরসরাই থানাধীন মিঠাছড়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়।
রুমি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাজারপাড়া গ্রামের মৃত মো. তাজুর কন্যা। র্যাব জানায়, গত ২৮ আগস্ট অনলাইনে লুডু খেলা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুমি আক্তার এবং তার মা ও ভাই তাদের প্রতিবেশী মো. মালেককে (৪৬) ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করেন। রুমি আক্তারকে উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত ১৭ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে কথিত প্রেমিকদের সাথে অবৈধ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। রুমি আক্তারের সাথে তার স¦ামী মো. রিদোয়ানের এসব বিষয় নিয়ে প্রায় সময়ই ঝগড়া ও দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে রুমি আক্তার তার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খাটের উপর কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে বাইর থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান। পরদিন রিদোয়ানের মা-বাবা এবং আত্মীয় স¦জন উক্ত ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। মাত্র দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
এই ঘটনায় থানায় মামলা হলে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ধারাবাহিকতায় র্যাব নিশ্চিত হয় রুমি মীরসরাইয়ে অবস্থান করছেন। গত ১১ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে প্রতিবেশি মো. মালেক (৪৬) হত্যা মামলার আরো দুই আসামিকে মীরসরাই থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- ইয়াসমিন (৪০) ও হানিফ মিয়া (১৯)। গত ২৮ আগস্ট মো. মালেকের ছেলে মো. হোসাইনের সাথে তাদের প্রতিবেশী নুরুল আমিনের ছেলের অনলাইনে লুডু খেলা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। উক্ত ঝগড়ার জের ধরে ওই রাতে নুরুল আমিন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মো. হোসাইনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।
হোসাইনের বাবা মালেক তার ছেলে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে নুরুল আমিন তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মালেকের বুকে ও পিটে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন এবং তার ছেলে হানিফ মিয়া মালেকের বুকে ও পিঠে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। নুরুল আমিনের স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও তাকে ছুরি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এক পর্যায়ে তাকে মৃত মনে করে আক্রমণকারীরা পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত মো. মালেককে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলার স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় আটজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন