নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা ঃ নওগাঁ জেলার সাপাহার খঞ্জনপুর শুল্ক করিডোর ও গবাদি পশুর বিট উদ্বোধনের পর থেকে বিগত দেড় বছরে এখান থেকে সরকার প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে।
উল্লেখ্য, নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার, পোরশা ও পতœীতলা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে আমদানীকৃত গবাদি পশুর শুল্ক করিডোরের মাধ্যমে সরকার রাজস্ব আদায়ের জন্য সাপাহার উপজেলার খঞ্জনপুর বিজিবি কোম্পানি সদরের অদূরে গত ২০১৪ সালের ১লা জুন একটি অস্থায়ী গবাদি পশুর বিট-করিডোর স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সাপাহার খঞ্জনপুর গবাদি পশুর বিট-করিডোরের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে রাজস্ব আদায়ে নিয়োজিত কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের দায়িত্বসমূহ পালন করে আসছেন। গবাদি পশুর বিট-করিডোর চালু থাকায় সীমান্ত এলাকার অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। খঞ্জনপুর শুল্ক করিডোর ও গবাদি পশুর বিট এলাকাসমূহ দিয়ে ভারত থেকে বৈধ পথে গবাদি পশু আমদানির ফলে সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি’র কঠর পদক্ষেপ বিদ্যমান রয়েছে। অপর দিকে সীমান্তসংলগ্ন সাপাহার উপজেলার হাটবাজারে গবাদি পশুর আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বেশি থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতাদের আগমন ঘটায় এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। উপজেলার সকল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানসমূহে আর্থিক লেনদেন পূর্বের চাইতে অনেক গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে গত ২০১৪ সালের পহেলা জুন থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেড় বছরে খঞ্জনপুর শুল্ক করিডোর ও গবাদি পশুর বিট এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বৈধ পথে প্রায় ৮৩ হাজার ৬ শত ১৪টি (গরু, মহিষ, ঘোড়া) গবাদি পশু আমদানি করা হয়েছে। যেখান থেকে সরকার প্রায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১২ হাজার ৫০০শত টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। খঞ্জনপুর শুল্ক করিডোর ও গবাদি পশুর বিট চালু থাকায় নওগাঁর সীমান্তবর্তী কয়েকটি উপজেলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি এখান থেকে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে সরকার ও দেশ অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী খঞ্জনপুর শুল্ক করিডোর ও গবাদি পশুর বিট এলাকায় একটি স্থায়ী স্থলবন্দর স্থাপনের জোর দাবি জানিয়ে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন