পুলিশি বাধা অতিক্রম করে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে লাখো নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে বিমানবন্দর এলাকায়।
বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলাকায় ইতোমধ্যে অবস্থান নিয়েছে তারা। পুলিশ শত চেষ্টা করেও তাদের সরাতে পারেনি। পুলিশ এখন কৌশলী অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কাজী ইকবাল করীম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপির পক্ষ থেকে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪ জনকে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।তারা কিছু সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের ভিতরে প্রবেশ করবেন বলে বিএনপির একটি সূত্র জানায়।
দীর্ঘ দিন লন্ডনে চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে তার। বিমানবন্দর এলাকায় বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশ এবং এপিপি সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাদা পোষাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ চিঠি দিয়ে জানানোর পর তাদের জড়ো হতে দিচ্ছে না পুলিশ।
উত্তরা জোনের পুলিশ কমিশনার জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ বিমানবন্দর এলাকায় পুলিশ কাউকে প্রবেশ করতে দিবে না। তবে শান্তিপূর্ণভাবে কেউ রাস্তার পাশে দাঁড়াতে চাইলে পুলিশ বাধা দিবে না। কিন্তু কাউকে জমায়েত করতে দিবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আহমেদ বলেন, যাত্রী ছাড়া কাউকে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যাত্রী ছাড়া কাউকে না আসার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
বিমানবন্দর থাকার ওসি বলেন, বিমান বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এখানে সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে। তবে আজকে আরো জোরদার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন