স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন তামাক কোম্পানি আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানে টালবাহানা করছে। বিশেষ করে গুল, জর্দ্দা, বিড়ি কোম্পানিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্যাকেটে সচিত্র সতর্কবাণী প্রদান না করার অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছে। আর এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য ও নেশাবিরোধী কাউন্সিল (মানবিক) উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
মানবিকের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট পারভীন আক্তার দরিদ্র জনসাধারণ যারা নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ গুল, জর্দ্দা, সাদাপাতা, বিড়িসহ কমদামি সিগারেট ব্যবহারের স্বীকার তাদের কথা চিন্তা করে সরকারের সংশ্লিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে সুচারুভাবে পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা ঐসকল কোম্পানিকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান নিশ্চিত করণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান। একই সঙ্গে দেশি-বিদেশিসহ স্থানীয় পর্যায়ে গড়ে ওঠা গুল, বিড়ি, জর্দ্দা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইন মোতাবেক তাদের উৎপাদিত সকল পণ্যের মোড়কে ১৯ মার্চের মধ্যে মূল প্রদর্শনী তলের ৫০ শতাংশ জায়গা জুড়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের আহŸান জানান।
সরকার জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ (সংশোধনী-২০১৩)’ ও ‘ধুমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করেছে। সে অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে দেশে উৎপাদিত বিড়ি সিগারেট এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সকল তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের মূল প্রদর্শনী তলের ৫০ শতাংশ জায়গা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত ধূমপায়ী ও অধূমপায়ীগণ ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অধিক সচেতন হবে। একটি ছবি হাজারো শব্দের চেয়েও অনেক শক্তিশালী। ফলে যারা পড়তে জানেন না বিশেষ করে, নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্য সম্পর্কে জানতে উক্ত সচিত্র সতর্কবাণী অধিক কার্যকর হবে। পৃথিবীর প্রায় ৮০টিরও অধিক দেশ এ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের ফলে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন