কবিতা
শাহীন রেজা
না ক্রোধ না অগ্নি
কেউ ছুঁতে পারেনি আমাকে
না ক্রোধ না অগ্নি
না পুষ্প না পক্ষী
শুধু একজন পথে যেতে যেতে একদিন
ছুঁয়েছিলো দুটো হাত ছায়াবুক নিবিড় উষ্ণতায়
সেই থেকে এই হাত সোনার হাত
সেই থেকে এই বুক আলোর বুক
আমার বক্ষ থেকে বেরিয়ে আসা রশ্মিতে
আলোময় সমগ্র চরাচর
আমার হাত থেকে নি:সৃত শব্দমালায়
কেবলি কবিতার ধ্বনি, পদ্যের চাষবাস
আমি ভোর থেকে মধ্যরাত অবধি
আলোর রাখাল হতে হতে
কবিতার চাষী হতে হতে
অবশেষে হয়ে যাই একজন হৃদ্যপ্রেমিক
প্রেমিকের অগ্নি থাকতে নেই
ক্রোধ থাকতে নেই
সে শুধু পুষ্পের ঘ্রাণ পক্ষীর সখা
কবিরা কি শালিক হয়
কিংবা গোলাপ-
কে জানে?
মুজিব রহমান
সে ছিল
তখন আমার ছিল নাতো কেউ
হৃদয়ে খেলেনি কোন ঢেউ
হঠাৎই তার সাথে দেখা হয়
সে আমার মন করে জয়।
সে হয়ে উঠে আমার জন
আমার বৃক্ষমালা, গহীন বন
আমার উথাল বুকের কাঁপন
হয়ে উঠে একান্ত আপন।
এখন আমার নেই কেউ
হৃদয়ে খেলে পুরোনো ঢেউ
সে আমার অক্ষয় পুরানো ক্ষত
কেউ আর আসবে না তার মত।
কামরুল আলম কিরণ
লক্ষিèবাজারের মেয়ে
লক্ষিবাজারের সেই পানপাতা চেহারার
চঞ্চলা হরিণি কন্যা,
সবার কাছে ছিলে হিংসুটে দেমাগী
আমার কাছে যে অনন্যা।
লিখেছি তোমাকে নিয়ে কত গান কবিতা
ঝরছিলো নিঃশ্বাসে রক্ত,
স্বপ্ন দেখেছি কত নির্জনে আনমনে
হয়ে গিয়ে একেবারে ভক্ত।
ক্লাশের ছুটি শেষে কলাভবন থেকে
উঠতে যখন ঐ রিক্সায়,
ইচ্ছেটা হতো বেশ রিক্সায় উঠে পড়ি
মনটা যে দিতোনা ঠিক সায়।
নিত্যনতুন সাজে আসতে যে প্রতিদিন
ধুকপুক করতো যে দিলটায়,
অবাক হতাম বেশ দুজনের ম্যাচিংএ
ভীষণ রকম ঐ মিলটায়।
আমার বয়স এখন ফিফটির কাছাকাছি
তোমাকেও ছুঁয়ে যাবে ফিফটি,
মনে কি পড়ছে বলো হচ্ছোকি এলোমেলো
পেয়ে আমার শেষ গিফ্টটি?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন