২১৪. অবশেষে বিজ্ঞ হাকিম আরয করেন : হে রাজন!
স্বর্ণকারের নিকট করুন ওই দাসীকে সমপর্ণ।
২১৫. বাঁদীর প্রাণে জ্বলছে সদা ধিকিধিকি যেই অনল
পরস্পরের মধুমিলন সেই অনলে ঢালবে জল।
২১৬. চন্দ্রাননা বাঁদীকে তায় দিলেন সপে বাদশাবর
আশেক-মাশুক বুকে বুকে মিলল দু’জন পরস্পর।
২১৭. থাকল দু’জন ছ’মাস মজে মৌতাতে বেশ মৌবনে
বাঁদীর পুনঃ ঢেউ জাগিল রূপ লাবনি যৌবনে।
২১৮. এবার হাকিম মিশান ওষুধ স্বর্ণকারের শরবেতে
পান করে তা’ শীর্ণক্ষীণ হয় সে ক্রমে সেই হতে।
২১৯. হারিয়ে গেল রূপ মাধুরী হারাল তার আকর্ষণ
দেখে এ হাল কানিজেরও১ তাহার থেকে ফিরল মন।
২২০. স্বর্ণকারের রূপ-জোয়ানী যখন হলো সব নিঃশেষ
বাঁদীর প্রেম ও মোহব্বতও তখন হলো নিরুদ্দেশ।
২২১. দেহজ প্রেম, রূপের মোহ, প্রেম কভু নয়, সব অসার
কেলেঙ্কারি লাজ অনুতাপ শেষ পরিণাম কেবল তার।
২২২. পূর্ব থেকেই এই সোনারু হতো যদি কুদর্শন
আসতনা তার ওপর তবে এই মুসিবত কাল-শমন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন