আসন্ন দু’টি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরকে সামনে রেখে বিদেশী কোচ প্রত্যাশা করেছিল বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন। লক্ষ্যপূরণে তারা কোচ নির্বাচনও করে রেখেছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)। তাই ওই দু’গেমসের আগে উন্নত প্রশিক্ষণের বিদেশী কোচ আনতে পারছে না বক্সিং ফেডারেশন। গতকাল এ তথ্য জানান, বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস খান। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টে কমনওয়েলথ গেমস এবং ২০১৯ সালের কাঠমান্ডু সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ভালো করতে কাজাখস্তানের অভিজ্ঞ কোচ ঝানবেক কুলনিইয়াজবকে নির্বাচন করেছিলেন বক্সিং ফেডারেশন কর্তারা। যার প্রোফাইল বেশ সমৃদ্ধ। ঝানবেক কুলনিইয়াজব ২০০০ সালে কাজাখস্তানের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোচ ছিলেন। ওই বছরে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সামার অলিম্পিকে তারই শিষ্য ইব্রাহিমভ ৭১ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। বাংলাদেশে আসার জন্য মাসিক চার হাজার ডলার চেয়েছিলেন আইবার (আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন) লেভেল-১ ও ২ কোর্সধারী ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণকারী এই কোচ।
কুদ্দুস বলেন, ‘২০১৪ সালেও কমনওয়েলথ গেমসের আগে আমরা ইউক্রেনের গুরেনকো আলেক্সান্দারকে। তাকেও মাসিক চার হাজার ডলার দিতে হয়েছিল। এবারও আমরা বিওএ’র কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু বিওএ ‘ফান্ড নেই’ বলে আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। তাই ঝানবেক কুলনিইয়াজবকে আনতে পারছি না। খুব ভালো মানের কোচ তিনি। উনাকে আনতে পারলে কমনওয়েলথ গেমসের ক্যাম্পে থাকা বক্সারদের জন্য ভালো হতো।’ এ প্রসঙ্গে বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু। তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথ গেমসের ছয় ডিসিপ্লিনের মধ্যে কেবল শুটিং ও সাঁতারের বিদেশী কোচ রয়েছে। মান যাচাই করেই তাদের বিদেশী কোচের খরচ মেটাচ্ছে বিওএ। ২০১৪ সালেও আমরা বক্সিংয়ে ইউক্রেনের গুরেনকোকে এনেছিলাম। কিন্তু দেখা গেলো, বক্সিং রিংয়ের পাশে দাঁড়ানোর মতো যোগ্যতাও তার ছিল না। তাই এত অর্থ খরচ করে এবার আর বক্সিংয়ের জন্য বিদেশী কোচ আনার ব্যাপারে একমত হতে পারিনি আমরা।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন