বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

জি টু জি প্লাসে কর্মী গমন স্বাস্থ্য পরীক্ষার বেড়াজালে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীরা

এক মাস পর পর নিয়োগানুমতি ইস্যু : হাজার হাজার মেডিকেল রিপোর্টের মেয়াদ শেষ

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ৭:০২ পিএম

স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় চাকুরী নামের সোনার হরিণ ধরার জন্য প্রায় দু’লাখ কর্মী ভিসা ছাড়াই মেডিকেল পরীক্ষার বেড়াজালে পড়েছে । গ্রাম্য দালালের খপ্পরে পড়ে এসব কর্মী জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চড়া দামে মেডিকেল পরীক্ষা করে মাসের পর মাস ভিসার জন্য প্রহর গুনছেন। মেডিকেল পরীক্ষার সময়ে দালালরা পাসপোর্ট এবং অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা জমা নিচ্ছে। মেডিকেল পরীক্ষা করার পর পরই মালয়েশিয়ায় যাওয়া যাবে এমন প্রতিশ্রুতিতে ভিসা ছাড়াই দেদারসে নিরীহ কর্মীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর যথাসময়ে ভিসা না আসায় কর্মীরা পাসপোর্ট ও অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে জিম্মি দশায় দিন কাটাচ্ছে। অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট চাইলেও তাদের পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হচ্ছে না বলেও কেউ কেউ অভিযোগ তুলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রচুর চাহিদাপত্র থাকার পরেও বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের পর্যাপ্ত পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। বায়রার শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সিন্ডিকেট চক্রের কেউ কেউসহ এক শ্রেণীর মেডিকেল সেন্টার মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জনপ্রতি ৫ হাজার ৩শ’ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব চিহ্নিত মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার টাকা থেকে জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে দশ সিন্ডিকেটের মূল হোতা মালয়েশিয়ার দাতো আমিনের এফ ডব্লিউ সি এম এস-কে কমিশন বাবদ পরিশোধ করছে। কোনো মেডিকেল সেন্টার স্বাস্থ্য পরীক্ষার টাকা থেকে জনপ্রতি দুই হাজার টাকার কমিশন দাতো আমিনের এফ ডব্লিউ সি এম এসকে দিতে বিলম্ব করলে তার সার্ভারের পাসওয়ার্ড ব্লক করে দেয়া হয়। এসব দেখার কেউ নেই। কর্মী নিয়োগের ভিসা হাতে পাওয়ার আগে কেন কার স্বার্থে লাখ লাখ কর্মীর চড়া দামে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে তা’ বোধগম্য নয়। কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়া ধীরগতির কারণে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে একই কর্মীকে দ্বিতীয় বার ৫ হাজার ৩শ’ টাকা দিয়ে পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এতে হাজার হাজার কর্মী স্বাস্থ্য পরীক্ষার বেড়াজালে পড়ে প্রতারণাসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দশ সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য প্রান্তিক রিক্রুটিং এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী ও বায়রার সাবেক সভাপতি গোলাম মুস্তাফা রাতে ইনকিলাবকে বলেন, জি টু জি প্লাসে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের অ্যাপ্রুভেল ধীরগতি । আগামী মাস থেকে কর্মী নিয়োগের অ্যাপ্রুুভাল বাড়তে পারে। তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের মেডিকেল পরীক্ষা করে অপেক্ষা করছে এমন সংখ্যা খুব একটা নেই। তবে যারা মালয়েশিয়া থেকে চাহিদা এনে আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রসেস করছে তারা বাড়তি মেডিকেল পরীক্ষা করতে পারে। তিনি বলেন, দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ হাজার কর্মী গেছে মালয়েশিয়ায়। এদের কোনো অভিযোগ কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে জমা পড়েনি। বায়রায় দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দু’টি ওয়ান স্টপ সার্ভিস কবে নাগাদ হতে সে সম্পর্কে বায়রার সাবেক সভাপতি গোলাম মুস্তাফা কিছু বলতে পারেননি। জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ১০ এপ্রিল থেকে জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় গত অক্টোবর পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৫শ’ ৫৬জন কর্মী মালয়েশিয়ায় চাকুরী লাভ করেছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দপ্তর থেকে এক মাস পর পর মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের নিয়োগানুমতি ইস্যু করায় অনেক কর্মীর ভিসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এতে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু হাজার হাজার কর্মী অহেতুক হয়রানির শিকার হচ্ছে। মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু যেসব কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের জনপ্রতি ফি ৫ হাজার ৩শ’ টাকা আর ফেরত পাচ্ছে না। শুধু মাত্র দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের সুযোগ বহাল থাকায় জনপ্রতি তিন লাখ টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু হলে মাত্র ৩৮ হাজার টাকা অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানোর বহু ডাক-ঢোল পেটানো হয়েছিল। গত ১৪ জুন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নির্মাণ ও কারখানা কর্মীর অভিবাসন ব্যয় জনপ্রতি ১ লাখ ৬০ হাজার এবং কৃষি কর্মী’র জনপ্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা অভিবাসন ব্যয় ধার্য করে। তবে জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ার উল্লেখিত অভিবাসন ব্যয় উভয় দেশের সমঝোতা স্মারকের অনুচ্ছেদ ৯ অনুযায়ী জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী সভায় মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত করার কথা। কিন্তু দশ সিন্ডিকেট চক্র সরকার ঘোষিত নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়কে উপেক্ষা করে কয়েকগুণ বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দেশের মিশনগুলো থেকে ফ্যাক্টরি পরিদর্শনের পর সত্যায়নের পর নিয়োগানুমতি পেতে পদে পদে নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর। বিদেশ গমনেচ্ছুদের নিয়োগানুমতি পেতে নাভিশ্বাস উঠছে। এতে জনশক্তি রফতানিতে ধস নেমে আসতে পারে। গত সেপ্টেম্বর থেকে জনশক্তি রফতানি নিন্মগতি দেখা দিচ্ছে। মাসের পর মাস নিয়োগানুমতির ফাইল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দপ্তরে আটকে থাকায় জনশক্তি রফতানিকারকদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিচ্ছে। নিয়োগানুমতির ফাইল অহেতুক দীর্ঘ দিন একটি দপ্তরে আটকে থাকায় অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। বায়রার শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এ তথ্য জানিয়েছেন। বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীর নিয়োগানুমতির ফাইল দীর্ঘ দিন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকায় শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনেক কর্মীর মেডিকেল পরীক্ষার মেয়াদও চলে যাচ্ছে। বিদেশের মিশনগুলোতে যাচাই-বাছাই করার পড়ে কি কারণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দপ্তরে কর্মী নিয়োগানুমতির ফাইল মাসের পর মাস পড়ে থাকে তা’খতিয়ে দেখা জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’কে অবহিত করেও কোনো সু-ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ভুক্তভোগী একাধিক জনশক্তি রফতানিকারক এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দীর্ঘ এক মাস পর গত ৫ অক্টোবর মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু ১৭ হাজার ৪শ’ ৪৫ জন কর্মীর নিয়োগানুমতি দেয়া হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর থেকে গত ১২ নভেম্বর পর্যন্ত আরো ১৪ হাজার মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীর নিয়োগানুমতির ফাইল আটকে পড়েছিল। তবে ইদানীং কিছু নিয়োগানুমতি’র ফাইল ছাড়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আটকেপড়া এসব কর্মীরা প্রতি দিন বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি’র অফিসে ধর্না দিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। আটকেপড়া এসব কর্মীর অনেকেরই ভিসা ও মেডিকেল পরীক্ষার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগানুমতি’র ফাইল মাসের পর মাস আটকে পড়ায় বায়রার মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন সম্প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জনশক্তি রফতানিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে বিদেশ গমনেচ্ছুদের নিয়োগানুমতি দ্রুত ছাড় করার উপও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। গত মার্চ মাসের প্রথম দিকে জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হয়। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে স্বল্প সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি’র মাধ্যমে জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগ শুরু হলে অভিবাসন ব্যয় কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের চড়া অভিবাসন ব্যয় যোগাতে নাভিশ্বাস উঠেছে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বাদ দিয়ে মাত্র দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হয়। এনিয়ে জনশক্তি রফতানিকারকরদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। অনেক বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি নিরুপায় হয়ে এসব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিটুজি প্লাসে দালালের ভূমিকায় কর্মী পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫৫ হাজার কর্মী এ প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থান লাভ করেছে। মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা এ যাবত লক্ষাধিক কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র ইস্যু করেছে। প্রায় নব্বই হাজার চাহিদাপত্র হাই কমিশনের সত্যায়নের পর বাংলাদেশে পৌঁছেছে। কিন্ত একাধিক দালালদের হাত বদলের মাধ্যমে কর্মীরা ঋণ এবং ভিটেমাটি বিক্র করে জনপ্রতি তিন লাখ টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয় করে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে। চড়া সুদের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে মালয়েশিয়া প্রবাসী কর্মীদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে কর্মস্থল (ফ্যাক্টরি,কারখানা ও নির্মাণ কোম্পানী) সরেজমিনে পরিদর্শন করে বেতন-ভাতাদিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আছে কিনা তা’ যাচাই-বাছাই করে চাহিদাপত্রে সত্যায়ন করে নিয়োগানুমতি দেয়া হচ্ছে। জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় দশটি রিক্রুটিং এজেন্সি’র মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়ায় দেশটিতে জনশক্তি রফতানিতে গতি আসছে না । মালয়েশিয়ায় চাহিদার অতিরিক্ত কর্মী প্রেরণসহ নানা পরিস্থিতির দরুণ দেশটিতে ২০০৯ সালে জনশক্তি রফতানি বন্ধ করে দেয়া হয়। এদিকে বর্তমানে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র বাংলাদেশে পাঠানোর আগে হাইকমিশনের শ্রম শাখার কর্মকর্তারা সরেজমিন ফ্যাক্টরি ভিজিট করে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভা, কর্মীদের সাক্ষাৎকার, কর্মস্থল ও হোস্টেল পরিদর্শন এবং নতুন কর্মী নিয়োগ করার সুযোগ, থাকার সুব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা, ওভার টাইম, বেতন ব্যাংকের মাধ্যমে দেয় কি না, ইত্যাদি যাচাই করা হচ্ছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া বিদ্যমান কর্মীদের পে স্লিপ চেক করা, কোম্পানির আয়-ব্যয়, শেয়ার, লাইসেন্স, উৎপাদন, এক্সপোর্ট ইত্যাদিও দেখা হচ্ছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেয়ার অনুমতি আছে কি না সেটিও দেখা হচ্ছে। তবে হাই কমিশনের সত্যায়নে বিষয়টি ধীরগতি পরিলক্ষীত হচ্ছে। যাদের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে শুধু তাদের সত্যায়নগুলোই দ্রুত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইস্টার্ন বে-রিক্রুটিং এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী গিয়াস উদ্দিন বাবুল গতকাল সোমবার কুয়ালালামপুর থেকে ইনকিলাবকে বলেন, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো’র জন্য উন্মুক্ত করা হলে একজন কর্মী মাত্র এক লাখ ষাট টাকায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পেতো। তিনি বলেন,গত দু’মাস ধরে দাতো আমিন কর্মী নিয়োগের অ্যাপ্রুুভাল কমিয়ে দিয়েছে। অ্যাপ্রুুভাল জমা দেয়া হলে তার ইচ্ছা মতো একটি সিন্ডিকেটে অ্যাপ্রুভাল ঢুকিয়ে দেয়। এতে দালালরা সব চেয়ে বেশি বিপদে পড়ছে। তিনি বলেন, প্রায় দেড় লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য মেডিকেল পরীক্ষা করে ভিসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় কর্মী প্রেরণের শুরুতে মাত্র ৩৭ হাজার টাকায় কর্মী পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বায়রার নেতৃবৃন্দ । তিনি বলেন, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের কাছ থেকে গলাকাটা হারে অভিবাসন ব্যয় আদায় করা হচ্ছে। এসব বিষয় দেখার কেউ নেই। তিনি বলেন, শুরুতে তারা স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তিনি মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। রাতে বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ ও মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপনের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন