স্টাফ রিপোর্টার : তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের প্রেক্ষিতে বিএটিসহ সকল তামাক কোম্পানীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)সহ সমমনা তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো। গতকাল সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচী শেষে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা অনুসারে গত ১৯ মার্চ ২০১৬ থেকে সকল তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট-মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান বাধ্যতামূলক। তামাকজাত সতর্কবাণী প্রদানের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করা সরকারের দায়িত্ব। গত ১৬ মার্চ ২০১৬ জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল বা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের গণবিজ্ঞপ্তির পূর্বে বিএটি দেশের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট প্যাকেট পরিবর্তনের নামে লিফলেট, হ্যান্ডবিলসহ প্রচারণা চালায়। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটি) সিগারেট প্যাকেট পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণার আড়ালে তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণা চালাচ্ছে বলে কর্মসূচীতে অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’র ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা, বিএটির এ প্রচারণা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৫ এর ১(ক) এর সুপষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, আইনের ধারা-৫ উপধারা ১ (ক) এ বলা হয়েছে ‘(১) কোন ব্যক্তি-(ক) প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়, বাংলাদেশে প্রকাশিত কোন বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোষ্টার, ছাপানো কাগজ, বিলবোর্ড বা সাইন বোর্ডে বা অন্য কোনভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করিবে না বা করাইবে না। ’
মানবিক’র টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার রফিকুল ইসলাম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন অনুসারে কোন ব্যক্তি ও কোম্পানী বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত ধারা লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদÐ বা অনধিক ১ লক্ষ টাকা অর্থদÐে বা উভয় দÐে দÐনীয় হবেন।
ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, ১৯ মার্চ, ২০১৬ অতিক্রম হলেও ধূর্ত তামাক কোম্পানীগুলো আইন বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে। কোম্পানীগুলোর এধরনের কার্যক্রম প্রতিহত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অনুরোধ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন