কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
২৫৭. প্রেম তো চাহে ছড়িয়ে পড়–ক প্রেম-বাখানি সর্ব ঠাঁই
স্বচ্ছ ছবি ভাসার লাগি মুকুর খানা স্বচ্ছ চাই।
২৫৮. প্রতিচ্ছবি ভাসছে না যে দর্পনে কি কারণ এর ?
জমে আছে ময়লা-কালি মুখটাতেই দর্পণের।
২৫৯. স্বচ্ছ ফটিক ঝক্্ঝকে যে আরশি তাহার এমনি শান
খোদায়ী রবি-রস্মিতে তা’ উদ্ভাসিত দীপ্তিমান।
২৬০. যাও তুমি যাও অগ্রে করো হৃদ-মুকুরের ময়লা দূর
অনুধাবন করবে তবে খোদার মহাদীপ্ত নূর।
২৬১. পানি-মাটির মোহ থেকে লাভ করিতে পরিত্রাণ
সার কথাটি শোনো এবার, শোনো দিয়ে মনের কান।
২৬২. তীক্ষè করো মেধা-মনন খোলো দিলের রুদ্ধদ্বার
কদম বাড়াও পথের দিকে কঠোর কঠিন তপস্যার।
২৬৩. শোনো ওহে বন্ধুরা মোর! কাহিনী এক চমৎকার
দেখবে তাতে প্রতিচ্ছবি মোদের হালতÑ অবস্থার।
২৬৪. পুরাকালে একযে মহান বাদ্্শা ছিলেন উচ্চশির
যেমনি মালিক সালতানাতের তেমনি ছিলেন ধর্মবীর।
২৬৫. সঙ্গে নিয়ে সঙ্গী-সাথী এক সময়ে সে সুলতান
অশ্ব-পিঠে সোয়ার হয়ে হরিণ শিকার করতে যান।
২৬৬. শিকার খোঁজে করেন রাজা বন ও গিরি অনেক পাড়
অবশেষে প্রেমের ফাঁদে ফেঁসে গেল চরণ তার।
২৬৭. দেখেন রাহে দাসীকে এক অপূর্ব তার রূপের ফাঁস
সেই ফাঁসেতে ফেঁসে রাজার প্রাণটা হলো দাসীর দাস।
২৬৮. প্রাণপাখি তাঁর অধীর ব্যাকুল হলো দেহ পিঞ্জরে
আনল কিনে সেই দাসীকে উচ্চতর দাম ধরে।
২৬৯. প্রণয়ভরে খুব আদরে রাজমহলে রাখল তায়
কিন্তু দাসী ভাগ্য-ফেরে কঠিন রোগে পড়ল হায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন