শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

চিন্নাস্বামীর দেয়ালে দ্রাবিড়

প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্যাঙ্গালুরুর কৃতি সন্তান অনিল কুম্বলে টেস্টে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। চিন্নাস্বামীতে স্থাপিত হওয়া ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন এক মেয়াদে। এবং তা রাজ সিং দুঙ্গারপুর, সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব,রবি শাস্ত্রী,পান্ডব, রানজীব বিশওয়াল, টি সি ম্যাথু এবং নিরঞ্জন সাহাদের মতো বড় প্রোফাইলের ক্রিকেটার, সংগঠকদের পাশে। অথচ, ব্যাঙ্গালুরুর ছেলে না হয়েও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দেয়ালে আছেন রাহুল দ্রাবিড়Ñ আছে মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে জন্ম নেয়া রাহুল দ্রাবিড়ের ট্রেড মার্ক কভার ড্রাইভের ছবি !
মূল ফটকের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে তার কৃতিগাঁথা। সিরামিকের লাল ইটের উপর স্টেইনেলস স্টিলে লেখা ‘কমিটমেন্ট, কনসিসটেনসি, ক্লাস’। পাশেই ডানহাতি রাহুল দ্রাবিড়ের ড্রাইভের ছবি। সেখানে লেখা ‘ অ্যা টিব্রিউট টু রাহুল দ্রাবিড়’।
টেস্টে ৩৬ এবং ওয়ানডেতে ১২ টি, এই ৪৮টি সেঞ্চুরির বছরওয়ারী চিত্রটা তুলে ধরা হয়েছে এই দেয়ালে। কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সেঞ্চুরিগুলোও শোভা পাচ্ছে এই দেয়ালে। রাহুল দ্রাবিড়ের সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট প্রোফাইলটাও এক নজরে চোখ দিয়ে বুলিয়ে নিতে পারবেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ২৬০, ২০০৭ ও ২০১০ সালে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রাহুল দ্রাবিড়ের সেঞ্চুরি ও যায়নি বাদ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অন্তত দ্রাবিড়ের অস্তিত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের তিনটি টেস্ট ভেন্যুকে তো পাওয়া গেল।
এই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ ডেভ হোয়াটমোরও। বাংলাদেশে কোচিং অধ্যায় শেষে ২ বছরের জন্য ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীর দায়িত্বটা নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ থেকে ২০০৯Ñএই দু’বছরে একাডেমীর পরিচালকের দায়িত্ব সফলভাবে করেছেন পালন, অনার্স বোর্ডে সেটাই ঝুলছে। ধর্মশালায় ক্রিকেট একাডেমী স্থাপনের আইডিয়াটা তার, ধর্মশালায় ঢুকে জেনেছি তা। চিন্নাস্বামীতে এসে জানতে হলো হোয়াটমোরের আর একটি অধ্যায়ের জয়গান। জানেন, ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীর অনার্স বোর্ডে পরিচালকদের তালিকাই বলুন, কিংবা চেয়ারম্যানদের লিস্ট, ভিনদেশী কেবল হোয়াটমোরই। ২০০১ সালে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীর যাত্রা শুরু হয়েছে চিন্নাস্বামীতে, তখন রাজ সিং দুঙ্গারপুর বিসিসিআই’র সভাপতি। একাডেমীর পরিচালক পদে অভিষেক দায়িত্বটা হনুমন্ত সিংকে দিয়ে শুরু, ব্রিজেশ প্যাটেল,শিবলাল যাদব,সন্দীপ পাতিল, দিলীপ ভেংসরকররা পর্যায়ক্রমে করেছেন একাডেমী পরিচালকের দায়িত্ব পালন। এই তালিকায় আছেন ডেভ হোয়াটমোর।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠের চেয়ে আয়তনে একটু বড় চিন্নাস্বামীর একাডেমী মাঠ। তবে এখানে উইকেটের সংখ্যা যথেষ্ট। নেটগুলোও এক স্থান থেকে অন্যত্র সহজেই স্থানান্তর করা যায়। আকারভেদে বয়সভিত্তিক দলগুলোর জন্য একটা নেটের নীচে আরো ক’টি। ঠিক বিমানবন্দরের ট্রলির মতোই চাইলেই নেয়া যায় খুলে। এক সঙ্গে তিনটি দল অনায়াসে অনুশীলন করতে পারে এখানে। ইনডোর এবং জিম ও এই একাডেমী মাঠের খুব কাছাকাছি। একাডেমীর প্রবেশ দ্বারে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, অনুমতি ছাড়া ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। এখানেই পার্থক্য।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন