স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রথম দুই ম্যাচে জয়। সিরিজ জয়ের পাশাপাশি হোয়াইটওয়াশের যে স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশের, তা কর্পুরের মত উবে গেল জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত টি-২০ ক্রিকেটে। আরো ভালো করে বললে, এক মাসাকাদজার কাছেই সিরিজ ভাগাভাগি করেছে মাশরাফিরা। পরের দুটো ম্যাচ জিতে ২-২ এ মাশরাফির সাথে ট্রফিতে হাত রেখেছে চিগুম্বুরা। শুরু হয়ে গেছে সিরিজের শুরু থেকেই আরোচনায় থাকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পোস্টমর্টেম। তবে, দলে খেলোয়াড়ের আশা-যাওয়া বা ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে হারের জন্য দায় দিচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা যাই থাকুক, দিন শেষে আজ ম্যাচ জেতাই ছিল উদ্দেশ্য। শেষ দুটি ম্যাচ আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ে কিছু জায়গায় ভালো করেছি। তবে ভারসামূপূর্ণ ব্যাটিংও আমরা দাঁড় করাতে পারিনি।’ তবে সিরিজ দিয়ে বছর শুরু করতে না পেরে হতাশা লুকোতে পারেননি মাশরাফি নিজেও। জিম্বাবুয়ের কাছে হারটা আরো বেশি করে কষ্ট দিচ্ছে বাংলাদেশের অধিনায়ককে, ‘বাংলাদেশের জন্য খেলতে নামলে হারটা অবশ্যই হতাশাজনক। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে হারতে কারও ভালো লাগে না, দেখতেও ভালো লাগে না। তবে ভুলগুলো ঠিক করার চেষ্টা করব। এখনও ৩-৪ সপ্তাহ সময় আছে এগুলো ঠিক করার। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হয়ত সব দিন সব কিছু ঠিক হবে না। কিন্তু বেশিরভাগ দিনই যেন আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেভাবে কাজ করতে হবে। এশিয়া কাপের আগে যে চ্যালেঞ্জ থাকবে, সেটার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ টি-টোয়েন্টিতে ১-২ ওভারেই খেলা বদলে যেতে পারে। ওই মানসিকতা আমাদের রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি স্বীকার করলেন, দলের সেরা দুই পেসার থাকলে সিরিজ ড্র নাও হতে পারত, ‘মুস্তাফিজ সব মিলিয়েই বাংলাদেশের সেরা বোলার এখন। শুধু বাংলাদেশ কেন, বিশ্ব ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা সে। আল আমিনও দারুণ ফর্মে আছে। ওরা দুজন থাকলে সিরিজের চিত্র হয়ত অন্যরকম হতে পারত।’ তবে দুই পেসারকে বিশ্রাম দেওয়া যে সঙ্গত কারণেই, সেটা উল্লেখ করতে ভোলেননি অধিনায়ক। বিশেষ করে খানিকটা চোট পাওয়া ও টানা খেলার মধ্যে থাকা মুস্তাফিজের বিশ্রামটা ছিল জরুরি, ‘ওদেরকে কেন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, সেটাও মানে রাখতে হবে। ওদেরকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এজন্যই যেন ওরা আরও ভালোভাবে ফিট হয়ে আসুক শারীরিক ভাবে। আরও চনমনে হয়ে ফিরুক।’
আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশেই শুরু হবে এশিয়া কাপ। ৮ মার্চ ভারতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে দুই টুর্নামেন্টের জন্য ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দল দিয়েছে বিসিবি। ক্ষুদ্র ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের দল নিয়ে ভাবতে চান মাশরাফি, ‘এশিয়া কাপের আগে যে চ্যালেঞ্জ থাকবে, সেটার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ টি-টোয়েন্টিতে ১-২ ওভারেই খেলা বদলে যেতে পারে। ওই মানসিকতা আমাদের রাখতে হবে।’ সেই সাথে কার সামর্থ্য কেমন এই সিরিজে তার একটা ধারণা পেয়েছেন বলেও জানান ম্যাশ, ‘আপনি যদি বলেন, ১৫ জনের স্কোয়াড দিতে হবে, সেখানে ৮-৯ জন তো আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। কিছু জায়গা দেখার দরকার ছিল। সেখানে কিছুটা তো আমরা পেয়েছিই। কেউ কেউ ভালো করেছে। আবার কিছু ব্যাপার আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে হয়নি। আমার মনে হয়, এশিয়া কাপের আগে বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে এটাই।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন