মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.
কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
২৭০. ছিল গাধা, ছিলনা সে গাধার গদি এক লোকের
কিনলো গদি, ছিনিয়ে নিল নেকড়ে গাধা, ভাগ্য-ফের।
২৭১. কলসি ছিল, শূন্য ফাঁকা এক ফোটাও জল যে নাই
জলের যোগাড় হলো এবার ভেঙ্গে গেল কলসিটাই।
২৭২. জড়ো করে বাদশা বলেন খ্যাতনামা ভিষকদের
তোমাদেরই হস্তে এখন আমার জীবন, জীবন এর।
২৭৩. প্রাণ-ভোমরা মোর এ দাসী, জীবনটা মোর সে কোন ছার!
শ্রান্ত এবং ক্লান্ত আমি, ও মোর ওষুধ চিকিৎসার।
২৭৪. সুস্থ-সবল করে ওকে, বাঁচাবে যে আমার জান
মুক্তো-মানিক অঢেল আমি সেই ভিষকে করব দান।
২৭৫. বলল তারা, জ্ঞান-গরিমা করে দিয়ে সব উজাড়
সবাই মিলে সুস্বাস্থ্য ঠিক ফিরিয়ে মোরা আনব তার।
২৭৬. চিকিৎসাতে প্রত্যেকেই আমরা ‘মসিহ’ এই যুগের
নিদান-বিধান, এলাজ-ওষুধ, মুঠোয় মোদের সব রোগের।
২৭৭. অহংকারে ‘ইন্্শাআল্লাহ’ বলল না কেউ ভিষকদের
আল্লা’ও তাই দেখিয়ে দিলেন অক্ষমতা দাম্ভিকের।
২৭৮. মুখেই কেবল এ পাক কালাম উচ্চারণে ফায়দা নাই
হৃদয় থেকে উৎসারিত প্রাণের ধ্বনি হওন চাই।
২৭৯. এমন তাপস আছেন যারা না করলেও উচ্চারণ
খোদার সাথে হৃদয় তাদের যুক্ত থাকে সর্বক্ষণ।
২৮০. এলাজ-ওষুধ, পথ্য, সেবা করল যতোই ভিষক দল
ততই অসুখ বাড়ল দাসীর চেষ্টা গেল সব বিফল।
২৮১. রোগ যাতনায় হলো দেহ চিকুর-চিকন শীর্ণ তার
দুই নয়নে ঝর্ণা হয়ে রক্ত ঝরে শাহানশার।
২৮২. বাড়ল দাসীর পিত্তক্ষরণ ‘সেকানজাবিন’ ব্যর্থ- ফেল
বিশুষ্কতা বাড়ল আরো মাখ্লো যতোই বাদাম তেল।
২৮৩. ‘কোষ্ঠকটিন’ দূর না করে হরতকি দেয় উল্টো ফল
করল কেরোসিনের মতো অগ্নিকে তেজÑ ঠাÐা জল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন