প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২২ থেকে ২৩ জন করে সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে আমরা একটা মডেল হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই। এজন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিএনপির সেনা মোতায়েনের দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোন প্রয়োজন নেই। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর আশঙ্কার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রার্থীর এ অভিযোগ সঠিক না। অবশ্যই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
কে এম নুরুল হুদা আরও বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার হলে প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে নজরদারি করছে। নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কালো টাকা ব্যবহারের তথ্য পেলে প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে ২২ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করলেও আগামীকাল শুক্রবার থেকে ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন এবং নির্বাচনের আগে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সভায় পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশ সপুার মিজানুর রহমান, রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন