প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটে অনিয়মের উল্লেখযোগ্য কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘সাধারণভাবে বলা চলে ছয়টি আসনে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। নির্বাচনে আনুমানিক ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট গণনা শেষে এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে।
আজ ৬টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কমিশন সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়েছে। টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে নজর রেখেছে। অনিয়মের উল্লেখযোগ্য কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েকটি জায়গায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। দুয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষে বহিরাগত লোক দেখা গেছে, এমন সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের খবর দেখে তারা ওই এলাকা থেকে তথ্য নিয়েছেন। একটি কেন্দ্রে একজন নারী ভোটার তার দুই বাচ্চাকে নিয়ে বুথে ঢুকেছেন। আরেকটি কেন্দ্রে এক ভদ্র মহিলা একজন অসুস্থ লোককে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘এগুলো হতে পারে। এগুলোকে আমরা খুব গুরুতর বা ব্যাপক ব্যতয় মনে করছি না। ভোটের ফলাফল পালটে যেতে পারে, এ ধরনের ঘটনা আমাদের কাছে মনে হয়নি।’
অভিযোগ উঠেছে, ভোটের মাঠে ইসির নিয়ন্ত্রণ নেই। একজন প্রার্থী নিখোঁজ ছিলেন। নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই-এটা আমি মেনে নিতে রাজি না। আমরা এখান থেকে বসে সর্বোত্তমভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। সংযোগ রক্ষা করে চলেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ইসিকে নির্ভর করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর। ইসিকে প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়, নির্ভরও করতে হয়। নিরপেক্ষ থাকতে তাদের বারবার বার্তা দেয়া হচ্ছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে তারা যে সহায়তা পাচ্ছেন, তা নির্ভরযোগ্য ও সন্তেুাষজনক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন