চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা যায় না, হাসপাতালেও নেওয়া লাগে না। জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। জিকা ভাইরাসের লক্ষণ ডেঙ্গুর মতো এবং জিকা ভাইরাস বহন করে এডিস মশা। এ মশা দিনের বেলাতেই বিশেষ করে সূর্য ওঠার ও ডোবার সময় কামড়ায়। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে হবে। মশাকে বংশ বিস্তারের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক চট্টগ্রামে একজন জিকা রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি জানানোর পর বিকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। এ সময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. অজয় কুমার দে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ অফিসের সার্ভিলেন্স মেডিক্যাল অফিসার ডা. মুস্তফা সৈয়দ ও ডা. মো. নুরুল হায়দার।
চট্টগ্রামে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের আগস্টে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল। তখন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্দেহভাজন রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পরীক্ষার জন্যে। যাদের নমুনায় ডেঙ্গু পাওয়া যায়নি (নেগেটিভ) সেগুলো স¤প্রতি পুনরায় পরীক্ষা করা হয় জিকা ভাইরাস আছে কিনা। ওই সূত্রে একজন রোগীর রক্তের নমুনায় জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ওই নমুনাটি আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত বিদেশি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সেখানেও একই ফলাফল আসে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ৬৭ বছর বয়সী ওই পুরুষ রোগীটি বর্তমানে সুস্থ আছেন। সামাজিক মর্যাদা ও মানবিক কারণে রোগীর নাম, ঠিকানা, ছবি প্রকাশ থেকে বিরত রয়েছি আমরা। ওই রোগীর সংস্পর্শে যারা ছিলেন তাদের রক্তের নমুনা নেয়া হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। এমনকি ওই এলাকার কিছু মশাও নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন