মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

চরভদ্রাসনে দুই হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ

প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা ঃ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে প্রায় দুই হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে। উপজেলা পদ্মা নদীর নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় এবং ভূবেন্বশ্বর শাখা নদটি মাটি ভরাট হওয়ায় বোরো আবাদ হচ্ছে। ফলে এ বছর উপজেলায় বোরো আবাদী জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার একর। যদিও জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতি ও ধানের চারার অতিরিক্তি মূল্য হওয়ার পরও কৃষকরা থেমে নেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলা সদর ইউনিয়নে প্রায় ৫২০ একর জমি, গাজীরটেক ইউনিয়নে ৫৫০ একর জমি, চরহরিরামপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরে ৪নং শালেপুর মৌজা, ৬নং শালেপুর মৌজা, ভাটি শালেপুর ও চরমোহন মিয়া মৌজা মিলে ৮৩০ একর জমি ও চর ঝাউকান্দা ইউনিয়নে প্রায় ৩ শ’ একর জমিতে বোরো আবাদের প্রক্রিয়া চলছে। এ বছর মোট প্রায় ৬শ’ খÐে (বøকের মাধ্যমে) মৌসুমের বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। ৮৮৫টি অগভীর নলকূপ ও মাত্র ৪টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে বোরো মৌসুমের ধানী জমিতে সেচকার্য চালানো হচ্ছে। আবাদী বোরো জমিগুলো সঠিক পরিচর্চা হলে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে না পড়লে প্রায় ৮ হাজার ২শ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানান। তবে রবিবার উপজেলার চরের কৃষকরা জানায়, “আবাদী জমিগুলো পদ্মার চরে হওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের সরকারি ঋণ সুবিধা দিচ্ছেন না। সরকারি ঋণ সুবিধা পেলে তারা উপজেলায় কৃষি ফসল আরো অধিক হারে উৎপাদন করতে পারতো বলে জানান”। গতকাল উপজেলায় জ্বালানি তেলের খুচরা মূল্য ছিল ৬৫ টাকা লিটার। একই সাথে উপজেলায় রয়েছে তীব্র মজুর সংকট। গাজীরটেক ইউনিয়নরে জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের বোরো কৃষক মনিন্দ্র রায় (৬৫) জানায়, “কৃষি কাজ করে আর বাঁচা যাবে না বাজান, ৬৫ টাকা লিটার ডিজেল, ৮শ’ টাকা দরে ধানের চারা, সাড়ে ৪শ’ টাকা দরে একটি মজুর কিনে ফসল উৎপাদন করার পর বাজারে বিক্রি করতে গেলে উৎপাদন খরচের অর্ধেক টাকাও উঠে আসে না। কিন্তু বাপ-দাদার পেশা বলে ফসল ফলাচ্ছি”।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন