ঢাকা-খুলনা মহা সড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকা যেন মরন ফাঁদ। গত এক বছরে সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১৯ জন আহত হয়েছে একশরও বেশি মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঝুকিপুর্ণ স্থানগুলোতে গতিরোধক না থাকায় এবং প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছে দুর্ঘটনা।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে গোয়ালন্দ মোড়ের দুরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এ সড়কে প্রতিদিন চলাচল করে, খুলনা, যশোর, বরিশাল,কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জসহ ২১ জেলার ৫ থেকে ৬ হাজার ছোট বড় যানবাহন।
এলাকাবাসি বলছেন গোয়ালন্দ মোড়টি পাড় হবার পরই ফেরির সিরিয়াল পেতে প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালান চালকেরা। আর এই কারনে সড়ক দুর্ঘটনায় গত ডিসেম্বর মাসে মারা গেছে ৭ জনসহ এক বছরে ১৯ জন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে যেমন রয়েছে বড় পরিবহনের সংঘর্ষ তেমন রয়েছে মাহেন্দ্র ও নসিমন করিমনকে চাপা দেওয়ার ঘটনা। এসব ঘটনার জন্য অদক্ষ চালকদের দুষলেন এলাকাবাসী। তারা আরো জানান, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দেদারছে চলছে অবৈধ নসিমন, করিমন ও ভটভটি যে কারনে ঘটছে এসব দুর্ঘটনা।
গোয়ালন্দ উপজেলার মকবুলের দোকান এলাকার নসিমন চালক আবুল কাশেম জানান, আগের কর্মকর্তারা মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল করতে না দিলেও বর্তমানে তারা শান্তিতে নসিমন ও করিমন চালাতে পারছে।
রাজবাড়ী জেলা ডিজেল চালিত অটোরিক্সা অটোটেম্পু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল জানান, তাদের সংগঠনের ২০০ বেশি মাহেন্দ্র রয়েছে যা গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া পর্যন্ত চলাচল করে। এই সব গাড়ির বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন রয়েছে কিন্তুচালকদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স, পেটের দায়ে এসব গবির মানুষ গাড়ি চালাচ্ছে।
রাজবাড়ীর আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ নবী হোসেন খান হাইওয়ে পুলিশের চাদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ঢাকা-খুলনা মহা সড়কে নিয়মিতভাবে স্প্রীড গান মেশিন দ্বারা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই সাথে পরিবহনের চালকদের নিয়ে সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। মহাসড়কে নসিমন করিমন চলার ব্যপারে হাইকোর্টের নিশেধাজ্ঞা রয়েছে তারপরও শাখার রাস্তা থেকে চলে আসছে এসব অবৈধ যানবাহন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন