কবিতা
বা দ ল বি হা রী চ ক্র ব র্তী
মায়া
ছোট্ট স্টেশনটিতে নেমে
আমি হাঁটছিলাম, হেঁটে যাই নিরন্তর, যখন-
রাজধানী হতে ছেড়ে আসা দ্রæতযান ট্রেনটা
কাউরাইদের ছোট্ট রেলস্টেশন ছুঁয়ে যায়,
পলকেই নেমে গিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচি যেন।
আহ্ কী শান্তি! গায়ের পথে হাঁটতে হাঁটতে
যখন দেখি, মুড়াধনঞ্জয় নদীর নিটোল জলে
ধীবরের জাল ফেলা উৎসুক সানন্দ চাহনি,
দিগন্তজুড়া সোনালী কার্পেট বিছানো
অনুপম অঙ্গশোভায় চিবুক চিক্ চিক্ করা
সরষে ফুলের আভরণে সজ্জিত সে সাড়ম্বর উপস্থিতি,
তখন ভুলে যাই, শারদ ল²ীর পায়ের ছাপ রেখে যাওয়া,
বিসর্জনের করুণ সুর সম্বলিত প্রস্থানী গীতি।
শেকড়ের কোনো এক অলক্ষ্য অদম্য আহŸানে
সবকিছু ছেড়ে ছুটে আসতে ইচ্ছে করে
জীবনানন্দের সেই হুতোম পেঁচা, গাংশালিক আর
ধানসিঁড়ি বিধৌত রূপসী বাংলার-
কার্তিকের নবান্নের দেশের মতো, মধুময় তোমার-
অঘ্রাণী মায়ার এই হেমন্ত দিনে।
সা ল মা ন সা দ
জোৎস্না রাইত
এই শহরে চান্দ ওডে
এই শহরের আকাশ বায়া জোসনা নামে না
এই শহরের পোড়া দালানকোঠা জোসনাতে ভিজবার চায়
একটা চান্নিপসর রাইতের প্রতীক্ষায় ব্যাকুল হয়া আছে
এই শহরের হগল প্রেমিক
এই শহরের মাইনষেরা ক্ষুধার্ত
বাতিগুলান সব এক এক কইরা নিভা যাক
এই শহরের মাইনষের অহন খুব দরকার
একটা ফিনিকফোটা জোৎস্না রাইত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন