শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

জয় ছাপিয়ে মাশরাফির জয়

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : পূঁজিটা খুব অল্প। জিততে হলে শুরু থেকেই দরকার আক্রমণ। মন্থর উইকেটের ভাষা পড়ে জিম্বাবুয়েরও নড়বড়ে অবস্থা। দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে মাঝারি সেই স্কোরকেই জিম্বাবুয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে যবুথবু। পেয়ে বসল বাংলাদেশও। শুরুটা করলেন অধিনায়ক মাশরাফিই। ১৪ রানে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকেি স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে শুরু। ৬ রান পর উইকেট নেওয়া শুরু সাকিবের। পর পর দুই বলে তিনি আউট করে দেন সুলেমান মিরে আর ব্র্যান্ডন টেইলরকে। হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা জাগিয়েও হতাশ। খানিক পর মাশরাফির বল আরভিনের ব্যাটে ছোবল দিয়ে যায় স্লিপে। ৩৪ রানেই চার উইকেট খুইয়ে বসে ক্রেমারের দল। ২১৭ রানের মামুলি লক্ষ্যই হয়ে দাঁড়ায় পাহাড়সম। সেটা যা একটু ছোট হয়েছে সিকান্দার রাজার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, তবে বাধ সাধেনি মাশরাফির মুকুটে আরেকটি সাফল্যেও পালক আঁটতে। আল্পপূরি ম্যাচে পাত্তা পেল না জিম্বাবুয়ে, তাদের ৯১ রানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ পেল টানা তৃতীয় জয়। তিন ম্যাচেই জয় বোনাস পয়েন্টসহ! গতকাল মিরপুরে বাংলাদেশের দেয়া ২১৬ রান তাড়ায় জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ১২৫ রানেই।
এই জয় নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক হয়ে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। হাবিবুল বাশারের ২৯ জয় ছাড়িয়ে অধিনায়ক মাশরাফির জয় ৩০টি। আরেকটি বড় জয়ে অটুট বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস। যেটি হারিয়ে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।
ত্রিদেশীয় সিরিজে পর পর টানা তিনবার টস জিতলেন মাশরাফি। প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পরও এবারও আগে নিলেন ব্যাটিং। তিন বছর পর দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় তৃতীয় ম্যাচেও হয়েছেন ব্যর্থ। আগের দুই ম্যাচে তবুও দ্রæত শুরু আনতে পেরেছিলেন। করেছিলেন মাঝারি রান। এবার তাও হয়নি। মাত্র ১ রান করে কাইল জার্ভিসের বলে এলবডবিøও হয়ে ফেরত গেছেন তিনি। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আবারও বাংলাদেশকে টানছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। জুটিতে এরমধ্যে ৬৬ বলে ৫০ রান তুলে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন আরও বড় কিছুর দিকে। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই ফিফটির জুটি গড়লেন তারা। প্রথম ম্যাচে ৭৮, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯৯ রানের জুটিতে ছিলেন দুজন।
দ্বিতীয় উইকেটে তামিমে সঙ্গে ১০৬ রানের জুটির পর আউট হয়েছেন সাকিব। তুলে নিয়েছেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। ৮০ বলে ৫১ রান করা সাকিব স্টাম্পিং হয়েছেন সিকান্দার রাজার বলে। এরপরই হঠাৎ সব ওলট পালট। ১৪৭ থেকে ১৭০- এই ২৩ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। যার চারটাই জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের ঝুলিতে। দুশোর মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও ছিল প্রবল। শেষ দিকে টেল এন্ডাররা মিলে বাংলাদেশকে নিয়ে যান ২১৬ পর্যন্ত। সানজামুল ১৯, মুস্তাফিজ ১৮ আর রুবেলের ৮ রানে দল পায় জয়ের পুঁজি।
টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। চার ম্যাচে একটি মাত্র জয়ে জিম্বাবুয়েকে থাকতে হচ্ছে অপেক্ষায়। আগামীকাল প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে শ্রীলঙ্কা বড় ব্যবধানে হারলে রান রেটের হিসেবে ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে জিম্বাবুয়ের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ৯:৩২ পিএম says : 0
T20 te masrafee ke chai
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন