জেলকোডে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ডিভিশনের নির্দেশনা নেই বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। তিনি বলেন, ১৯৬৪ ও ২০০৬ সালের কারাবিধি অনুযায়ী বর্তমানে যাঁরা সাংসদ, তাঁরাই ডিভিশন পান। সাবেক প্রেসিডেন্টও পান। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পান না।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় কারা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক।
আইজি প্রিজন বলেন, জেলকোড মেনে খালেদা জিয়াকে সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে। তাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি। তাকে সাধারণ কয়েদিদের মতো খাবার দেয়া হচ্ছে। তবে বাইরে থেকে তাকে ড্রাই ফুড (শুকনা খাবার) দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে ব্যক্তিগত কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আইজি প্রিজন বলেন, জেলকোডের নিয়ম অনুযায়ী কয়েদির পোশাকই তার পরার কথা। তার জন্য একজন সার্বক্ষণিক নার্স রাখা হয়েছে। তারপরও প্রয়োজন মনে করলে তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেয়া হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত। রোববার খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, ‘আমরা শুনেছি আদালত ওনাকে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। সেই আদেশের কপি এখনো হাতে এসে পৌঁছায়নি। আদালতের কপি পাওয়ার পরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
এর আগে, রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া জেলকোড অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরানো ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া মামলার অপর আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন