স্পোর্টস রিপোর্টার : শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেডের কাছ থেকে অগ্রিম পারিশ্রমিক নিয়েও অন্য ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন, এমন আট ফুটবলারকে ফেরত দিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সচিব নাহিদের দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ফুটবলাররা হলেন- মামুনুল ইসলাম, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী. শহীদুল আলম সোহেল, ইয়াসিন খান, সোহেল রানা, রায়হান হাসান, ইয়ামিন মুন্না ও আলমগীর কবির রানা।
মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, এই আট ফুটবলার শেখ জামাল ব্যতিত অন্য কোন ক্লাবে যাতে খেলতে না পারে সে ব্যাপারে বাফুফের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হলো। সেই সঙ্গে বাফুফের উপর রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট বেঞ্চ। রুলে বলা হয়, একাধিক চিঠি দেয়ার পরও আট ফুটবলারকে কেন শেখ জামালে ফেরত না দেয়াটা বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে বাফুফেকে। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবি ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এ ব্যাপারে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের বলেন, ‘আমি আশাকরছি বাফুফে আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মহামান্য আদালতের আদেশে প্রমাণ হলো, আসলেই ওই ফুটবলাররা আসলে শেখ জামালের খেলোয়াড়।’ গেল মৌসুমে শেখ জামালে খেলা পাঁচ ফুটবলার মামুনুল ইসলাম মামুন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ইয়ামিন আহমেদ মুন্না, রায়হান হাসান ও সোহেল রানা এবার চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দিয়েছেন। গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল নাম লেখান ঢাকা আবাহনী এবং জামাল ভূঁইয়া ও আলমগীর কবির রানা নতুন ঠিকানা খুঁজে নেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে। ফলে পুরোটাই খর্বশক্তির দলে পরিণত হয় প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। যে কারণে নিজেদের খেলোয়াড় ফিরে পেতে তারা আদালতের স্বরণাপন্ন হয়। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ ও কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে বাফুফের প্রতিক্রিয়া কি? এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন