বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার রায়ে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে ফরিদপুরে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও গুলি করেছে। মিছিলটিতে নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোদারেছ আলী ইছা।
শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু জানান, আজ সকাল ১১ টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর সুপার মার্কেটের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে যাওয়ার সময় পুলিশ এসে আমাদের মিছিলে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় তাদের লাঠিচার্জ ও গুলিতে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। পরে নেতাকর্মীরা আমাকে কোন মতে রক্ষা করে পাশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেখান থেকে ১৪/১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করে। এদের মধ্যে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোদারেছ আলী ইছা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি রওফুন নবী, লস্করদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা বাবুল তালুকদার মিঠু, মাহফুজুর রহমান, লিটন বিশ্বাস, শেখ সুলতান মাসুদ, ইয়াকুব সেকসহ ১৪/১৫জনকে আটক করেছে। তিনি জানান, আমাদের শান্তি পূর্ণ মিছিলে এমন ভাবে নগ্ন লাঠিচার্জ করবে এটা কোন ভাবেই ভাবতে পারি নাই। তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে ফরিদপুরসহ সারা বাংলাদেশে।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে পুলিশের হামলায় ফরিদপুরের কর্মরত দুই সাংবাদিক আহত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন