নরসিংদী থেকে সরকার আদম আলী : ধানক্ষেত থেকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পোকা-মাকড় দমন ও এ প্রক্রিয়াকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদী রায়পুরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে পার্চিং উৎসব বা জমিতে ডালপালা স্থাপন অনুষ্ঠান। উপজেলার ২৪ ইউনিয়নের ৭৩ কৃষি বøকে একযোগে অনুষ্ঠিত এ পার্চিং উৎসব উদ্বোধন করেছেন প্রধান অতিথি নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী, নরসিংদী’র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: লতাফত হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) ড. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রোজিনা আক্তার, রায়পুরার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ তৌফিক হোসেন খান। এ ছাড়া ৭৩ বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও প্রতি বøকে ১০০ জন করে কৃষক উপস্থিত ছিলেন। উপ-পরিচালক মো: লতাফত হোসেন বলেন, প্রতিবছর পোকা-মাকড়ের আক্রমণে ধানের ফলন অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পোকা-মাকড় দমনে ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ ছাড়া কোন গত্যন্তর থাকে না। জমিতে বিষ প্রয়োগের ফলে ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের সাথে উপকারী পোকা-মাকড়ও ধ্বংস হয়ে যায়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তেমনি ধানে ধীর বিষক্রিয়া সৃষ্টির আশংকা থাকে। অন্যদিকে ধানের ফলনও কমে যায়। এ অবস্থা উত্তরণে সরকার প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পোকা-মাকড় দমনে কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে জমিতে ধানের চারা রোপনের সাথে সাথে ২-৩ টি করে গাছের ডালপালা গেড়ে দেয়া। এ কর্মসূচী বহুপূর্বে গ্রহণ করা হলেও চাষী বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। যার ফলে এ বছর বোরো মৌসুমে কৃষকদেরকে বোরো ক্ষেতে ডালপালা স্থাপনে উৎসাহিত করনে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পার্চিং উৎসব বা ডালপালা স্থাপনের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, এসব ডালপালা গেড়ে দিলে এতে বিভিন্ন পতঙ্গভূক পাখ-পাখালী বসার সুযোগ পায় এবং জমির ওপর উড়ে উড়ে ধানের চারা থেকে পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলে। তিনি জানান এর আগে পর্যায়ক্রমে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় একইভাবে পার্চিং উৎসব পালন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন