বরিশাল ব্যুরো : দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাল, চিনি, লবণ ও মসুরডাল, মাছ, মুরগি এবং গরুর গোশতসহ শীতকালীন সবজির সাথে অনেক নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনমনে অস্বস্তি আর দুর্ভোগ বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের আমজনতার মধ্যে হতাশার সাথে ক্ষোভও বাড়ছে। রোজার তিন মাস বাকি থাকতে এ মূল বৃদ্ধি জনগনের জন্য বোঝায় পরিনত হয়েছে ইতোমধ্যে। রমজানের আগে আরো কয় দফা নিত্য পণ্যের দাম বাড়বে তা নিয়ে শংকিত দক্ষিনাঞ্চলের সাধারন মানুষ।
মুশুর ডাল-এর কেজি ১৩০-১৪০ টাকায় স্থির থাকার মধ্যেই গত সপ্তাহে চিনির দামও আকষ্মিকভাবে প্রতি কেজিতে ৫-৭টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫২-৫৪ টাকায় উঠেছে। চিনির মূল্য বৃদ্ধির সুযোগে বাড়ছে আখের গুড়ের দাম। প্যকেট লবনের কেজি গত মাস দুয়েক আগে ২৫টাকায় উঠেলেও তা আর হৃাস পায়নি। খোলা লবণের দরও একইভাবে বাড়তির দিকে। গত মাস খানেক আগে চালের দর প্রতি কেজিতে ২টাকা বৃদ্ধি পাবার পরে জনজীবনে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছিল তা আর প্রশমিত হয়নি। এখনো মধ্যম মানের চালের কেজি ৪৫টাকার ওপরে। মিনিকিট চাল ৫৫ টাকায় উঠেছে। চলতি মাসেই বাজারে নতুন বোরা ধান ও চাল আসলে হয়ত বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন পাইকাররা।
জাটকা আহরনে কিছুটা কড়াকরি আরোপ করায় বাজারে ইলিশ মাছের সরবারহ ঘাটতির ফলে অন্য সব মাছের দরও যথেষ্ঠ বাড়তির দিকে। ইলিশের কেজি এখন হাজার টাকার ওপরে। মাসখানে আগেও যে কোড়াল মাছে কেজি ৩শ টাকা ছিল বরিশালের বাজারে, এখন তা সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা। রুই-কাতল সহ অন্য সব মাছের দরও আকাশচুম্বি। গত বছর খানেক ধরেই গরুর গোসত-এর বাজারে যে উর্ধমুখি প্রবনতা শুরু হয়, এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। বরিশালে বাজারে গরুর গোসত বিক্রি হচ্ছে এখন ৪২০Ñ৪২৫ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগীর দরও এখন দেড়শ’ টাকার ওপরে। একইভাবে বেড়েছে সোনালী ও দেশী মুরগীর দাম।
সরবারহ হ্রাস পাবার সাথে গত পনের দিনে সব ধরনের সবজির দামও দেড় থেকে দ্বিগুণ বেড়েছে। শীতকালীন সবজির উৎপাদন ও সরবারহ ক্রমশ পড়তির দিকে। ফলে টমেটো, গাজর, লাউ, বেগুন, ঢেরশসহ সব ধরনের সবজীর দাম বেড়েছে অনেক। নতুন গ্রীষ্মকালীন সবজী বাজারে না আসা পর্যন্ত এ নিত্য পণ্যের দাম কমার আর সম্ভবনা নেই বলে মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকগণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন