ছোট-বড় সবাই চাই নিজের শরীরটা সুন্দর স্লিম ও মেদমুক্ত রাখতে। তবে খাবার-দাবার, চলা-ফেরা, ঘুম সহ কিছু অনিয়ম জনিত কারণে শরীরে চর্বি ও মেদ ভূড়ি বেড়ে যায়। ফলে নিজের অজান্তে এ জীবনের গতিবিধিতে নেমে আসে এক অসহনীয় যন্ত্রনা ও দানা বেধে যায় অসংখ্য রোগ ব্যাধির। আস্তে আস্তে কমে যায় শরীরের রোগ প্রাতরোধ ক্ষমতা। বেড়ে যায় রোগ-বালাই। শুরু হয় শরীরে অশান্তি-যন্ত্রণা। একটু শান্তির জন্য ঘুরতে হয় এ ডাক্তার ঔ ডাক্তারের কাছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর্থিক ভাবে, সংকটে পড়তে হয় পরিবার-পরিজনের সকলকেই। চিন্তিত হয় স্বজন সহ এলাকাবাসী। সব মিলিয়ে একবার মেদ-ভুড়ি ও চর্বি বেড়ে গেলেই চিন্তার জুড়ি থাকেনা। তাই সবারই চেষ্টা শরীরকে মেদমুক্ত করতে।
একবার হয়ে যাওয়ার পর পেট, পায়ের ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চর্বি কমানো সবচেয়ে কঠিন চেষ্টা ও পরিশ্রম করতে হয়। এই অংশগুলোর চর্বি কমানোর জন্য কঠিন পরিশ্রমের পাশা-পাশি নির্দিষ্ট ডায়েটের কঠোর অনুসরণও প্রয়োজন। সেটা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে যদি প্রাকৃতিকভাবে শরীরের মেদ কমানো সম্ভব হয় এমন কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলেতো কথাই নেই। হ্যাঁ এরকমই একটি পদ্ধতির নিয়ম জানিয়ে দিয়েছেন একদল গবেষক। মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব জর্জিয়া’র এ গবেষক দল জানিয়েছেন, সামান্য কিছু দব্যের মিশ্রণ সেবনে শরীরে জমে থাকা মেদের চর্বিকে গলিয়ে দিতে সক্ষম। যা মাত্র ৮ ঘন্টার মধ্যে উপকারিতা লব্ধ করতে পারবে সহজেই। তা হলে আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও এর মিশ্রণ তথ্য -
মিশ্রণের দ্রব্যাদি-
১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ ভিনেগার, প্রয়োজন মত কিছু পার্সলে পাতা, ১ টুকরো দারচিনি, ১টি পাতিলেবুর রস।
মিশ্রণ তৈরির নিয়ম-
প্রথমে পার্সলে পাতা আর দারচিনি বেটে নিন। তারপর তার সঙ্গে উপরে উল্লেখিত অন্যান্য উপাদানগুলো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ঘন্টাখানেক রেখে দিন মিশ্রণটি। তারপর রাতে শোয়ার আগে মিশ্রণটি খেয়ে শুয়ে পড়–ন। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি মিশ্রণ সেবনের ঘন্টা দু’য়েক আগে রাতের খাবার সেরে নিতে পারেন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে টয়লেটে যাওয়ার প্রবল তাড়া অনুভব করতে হতে পারে। কিন্তু তাতে ভয় পাবেন না। কারণ এই মিশ্রণ পেট পরিষ্কারের ব্যাপারেও অত্যন্ত কার্যকর।
রাতে এই মিশ্রণ সেবনের পর সকালে আপনি যখন টয়লেটে যাচ্ছেন তখন শরীরের বর্জ্যের সঙ্গেই বেরিয়ে যাচ্ছে আপনার দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বির কিছুটাও। ফলে রাতের আট ঘন্টার মতো ঘুমের মধ্যেই শরীরে মেদের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। পরপর তিন সপ্তাহ নিয়মিত যদি এই মিশ্রণ সেবন করতে পারেন তাহলে অবিশ্বাস্য ফল মিলবে ইনশায়াল্লাহ। প্রায় সর্বাংশে কমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার চর্বিযুক্ত শরীর। আপনি ফিরে পাবেন আরাম দায়ক ও প্রশান্তির শরীর ও ক্ষতিকর চর্বিমুক্ত পেট।
-কাজী এম এস এমরান কাদেরী।
সাংবাদিক, কলামিস্ট।
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
ধসৎধহশধফবৎর@মসধরষ.পড়স
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন