শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আকাশপথে দু’দফায় লম্বা ঘুম দিয়েছেন সিমন্স!

প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : এসেই বাজিমাত। ত্রিনিদাদ থেকে মুম্বাইয়ে উড়ে এসে ৮২ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংসে ফাইনালে তুলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিমন্স। সেমিফাইনালে ঝটপট গেইলের বিদায়, ইনফর্ম ফ্লেচারের হ্যামেস্ট্রিং ইনজুরিÑএতোকিছুও বাধা হতে পারেনি। মুম্বাইয়ের গ্যালারি ভর্তি দর্শকের স্বাগতিক দলকে সমর্থন পর্যন্ত এতোটুকু দূর্ভাবনায় ফেলেনি উইন্ডিজকে। বরং ত্রিনিদাদ থেকে উড়ে এসে সিমন্স ছড়িয়েছেন বিস্ময়!
ছিলেন না উইন্ডিজ স্কোয়াডে, ত্রিনিদাদে নিজের বাসায় বসে টি-২০ বিশ্বকাপে গেইল, ফ্লেচার, স্যামুয়েলসদের খেলা দেখেই ছিলেন সন্তুষ্ট সিমন্স। আফগানিস্তানের কাছে গ্রæপ রাউন্ডের শেষ ম্যাচে হারের পর হঠাৎ ভারত থেকে ক্লাইভ লয়েডের ফোনÑ ‘তুমি কি ফিট এবং আত্মবিশ্বাসী, ফ্লেচারের রিপ্লেশমেন্ট হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপ দলে যোগ দিতে পারবে?’ উইন্ডিজ লিজেÐারীর এমন ফোন পেয়ে সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালেন সিমন্স। ত্রিনিদাদ থেকে দু’টি লম্বা ফ্লাইটে আকাশ পথে ভ্রমণ শেষে মুম্বাইয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে অনুশীলনে হাজির সিমন্স !
কিভাবে এতো লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে অনুশীলনে যোগ দিয়েছে ছেলেটি? ক্লান্তি তো পেয়ে বসার কথা! অথচ কি জানেন, এতোটুকু ক্লান্তির লেশমাত্র পড়তে দেননি, বিমানেই নাকি ঘুমিয়ে নিয়েছেন প্রয়োজনীয় বিশ্রাম সিমন্সÑ ‘ম্যাচটির জন্য যতোটা বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল, তা নিতে পেরেছি। সকালে এসে প্র্যাকটিস করতে হবে, তাই আমি ২টি ফ্লাইটেই ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। প্রথম ফ্লাইটে বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি। পরের ফ্লাইটে রাত ১২টা থেকে সকাল ৪টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি। তাই বিশ্রামটা ভালই নিতে পেরেছি।’
মুম্বাই ইন্ডিয়ামেন্সর হয়ে আইপিএলএ খেলেছেন বলে মুম্বাইয়ের মাঠটি তার চেনা জানা, উইকেটের চরিত্রটাও ভালই জানা তার। এটাও কাজে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিমন্সÑ ‘আমি এখানে এসে শুক্রবার ছুটি পেলাম, আইপিএলএ মুম্বাইয়ের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত করছি। আমি দেখলাম আইপিএল’র জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার দারুন সুযোগ এটি। এক অর্থে এটা আমার হোম গ্রাউন্ডের মতো দেখতে। কারণ, এখানকার কন্ডিশন আমার ভালই জানা।’
তবে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ব্যাটিংয়ে নামার আগে লক্ষ্যটা যখন ১৯৩, এবং ইনিংসের শুরুতে ২ টপ অর্ডারের বিদায়, নাকি একটু নার্ভাস ছিলেন সিমন্সÑ‘ ম্যাচের আগে আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। টীমমেটরা বলছিল, এখানে আমার দায়িত্ব আছে। খানিকটা তাই চাপে ছিলাম। তবে সব মিলিয়ে ভালোভাবেই হয়েছে সবকিছু। ব্যাট করতে নামার সময় মাথাটা পরিস্কার করতে পেরেছি। রান তাড়ার লক্ষ্য ছিল, জানতাম কি করতে হবে। আমাদের সামনে লক্ষ্য ছিল এবং সেটি আমরা অর্জন করেছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন