২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক ঐক্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কংগ্রেসকে অন্তর্ভুক্ত করতে গতকাল দিল্লিতে ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসময় বিজেপিবিরোধী ফেডারেল জোটে অংশ নিতে সোনিয়া গান্ধীর প্রতি আহবান জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ১০ জনপথে বহু প্রত্যাশিত বৈঠকের পর মমতার বলেন, সোনিয়া সিনিয়র পলিটিসিয়ান। আমি যখনই দিল্লিতে আসি তখনই দেখা করি। রাজীবের সময় থেকে ভাল সম্পর্ক। এখনও আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি শরীর নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। পলিটিক্স নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
দিল্লি সফরে গিয়ে একের পর এক আঞ্চলিক দলের সঙ্গে মমতার বৈঠকের পর রাজনৈতিক মহলে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, মমতা কি কংগ্রেসকে ছাড়া আঞ্চলিক জোটের পক্ষপাতী, না কি কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর মোদী বিরোধী জোটের? সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলনেত্রী বললেন, আমরা বিভিন্ন আঞ্চলিক দল একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা চাই কংগ্রেসও থাকুক। যেখানে যে শক্তিশালী সে লড়ুক। একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হওয়াটা খুব জরুরি। একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হলে বিজেপির ক্ষমতা থেকে বিদায় হওয়া নিশ্চিত। ওরা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কোনও কাজ মানুষের জন্য করছে না।
মোদীকে হটাতে একের বিরুদ্ধে একজনকে লড়াইয়ে নামার আহŸান জানান মমতা। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলনেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, যা বলার বলে দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে কংগ্রেস দেবগৌড়ার জেডিএসের জোট না করায়, মঙ্গলবার কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। কিন্তু, গতকাল বুধবার সেই মমতাই বললেন, তিনি চান কর্ণাটকে কংগ্রেস জিতুক। ইউপিএ বনাম সম্ভাব্য ফেডারেল ফ্রন্টের সংঘাতের জল্পনায় ইতি টানার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে যারা আছে থাকুক। শারদ পাওয়ার আছে, লালু আছে। কর্ণাটকে কংগ্রেস শক্তিশালী। ওরা সরকারে আছে। ওরা লড়াই করছে। আমি চাই কংগ্রেস জিতুক। শুধু বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গেই নয়, বিজেপির ভেতরে মোদী বিরোধী বলে পরিচিত অরুণ শৌরী, যশবন্ত সিনহা এবং শত্রুঘœ সিনহার সঙ্গেও দেখা করেন মমতা। গতকাল অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ফোনে প্রায় ১০ মিনিট কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, আলোচনা হয়েছে ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে। সূত্র : টিএনএন, এবিপি আনন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন