লক্ষীপুরের রামগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শিশু নুসরাত জাহান নিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী শাহ আলম রুবেল ও তার সহযোগী বোরহান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে খুলনায় যাওয়ার পথে শাহ আলম রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বোরহান উদ্দিনকে উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে রামগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন। এসময় পুলিশ সুপার জানান, গত শুক্রবার দুপুরে আইসক্রিম খাওয়া ও টিভি দেখার কথা বলে রুবেল নুসরাত জাহানকে তার বাসায় ডেকে নেয়। এরপর জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণকরে সে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজ ঘরের স্টীলের আলমীরার ওপর ছট দিয়ে বেধে রাখে দুইদিন। ঘটনার দুইদিন পর গত শনিবার রাতে সিএনজি যোগে বস্তাবন্দি করে নুসরাতের লাশ তিন কিলোমিটার দুরে একটি ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রুবেল। প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। নিহত নুসরাত জাহান নিশু ঘাতক শাহ আলম রুবেলের ভাতিজি। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোতা মিয়া ও এসআই মো. কাউছার আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ খুলনায় যাওয়ার পথে শাহ আলম রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। এসময় নুসরাত জাহান নিশুর লাশ বহনকারী সিএনজি, ব্যাগ,তার ব্যবহৃত জুতা ও শীতল পাটি উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন