কাশ্মীর ইস্যুতে এক মন্তব্য করে এখনো ভারতীয়দের তোপের মুখে আছেন পাকিস্তানি তারকা আফ্রিদি। শুরুটা করছিলেন গম্ভীর। এরপর এতে যোগ দেন কপিল দেব, শচীন টেন্ডুলকার, কোহলির মতো ভারতীয় তারকারা। এরই মধ্যে আইপিএল নিয়ে নতুন মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। জানালেন ডাকলেও আইপিএলে খেলবেন তা তিনি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর আইপিএল খেলতে ক্রিকেটাররা মুখিয়ে থাকেন। তবে পাকিস্তান-ভারত দুই দেশের বৈরিতায় আইপিএলে খেলা হচ্ছে না পাকিস্তানি তারকদের। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক জানান, ‘যদি তারা আমাকে ডাকেও তবু আইপিএল খেলতে যাব না। আমার এর দরকার নেই। সেটির প্রতি আমি আগ্রহী নই, কখনও ছিলাম না।’
এদিকে কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে পিএসএলের তৃতীয় সংস্করণ। আফ্রিদির স্বপ্ন পিএসএল একদিন আইপিএল-এর চেয়ে বড় আসরে পরিণত হবে। এ নিয়ে শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘পিএসএলের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী। ক্রিকেট বিশ্বের বিগ হিটাররা এ টুর্নামেন্টে খেলে, তারা খুশি ও সন্তুষ্ট। আমিও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটি উপভোগ করছি। একদিন আইপিএলকে পেছনে ফেলে দেবে পিএসএল। সেদিন আর বেশি দূরে নেই।’
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে টুইটে আফ্রিদি লেখেন, ‘ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতার কণ্ঠস্বর চাপা দিতে দমনমূলক নীতিতে নিরীহদের গুলি করে মারা হচ্ছে। অবাক হয়ে ভাবি কোথায় গেল জাতিসংঘ, অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি! কেন এই রক্তপাত থামাতে তারা সচেষ্ট নয়?’ নিরপরাধ কাশ্মীরিদের বন্দুকের সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন এ অলরাউন্ডার।
এরপরই শুরু হয় কথার যুদ্ধ। পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডারের টুইটের কড়া সমালোচনা করেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তার টুইটের কড়া সমালোচনা করেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। তিনিও পাল্টা টুইটে লেখেন, জাতিসংঘ (ইউএন) এবং কাশ্মীর নিয়ে আফ্রিদির টুইটের প্রতিক্রিয়া জানতে অনেক মিডিয়া ফোন করেছিল আমাকে। কী আর বলা যায়? তার মানসিক বিকারগ্রস্তরা ইউএন (জাতিসংঘ)-এর মানে ‘আন্ডার নাইন্টিন’ই বোঝেন। এ নিয়ে মিডিয়ার মাথাব্যথার দরকার নেই। নো বলে আউট করার উদযাপনে মেতেছেন আফ্রিদি।
এবারই নয়, শহীদ আফ্রিদি এর আগেও কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলেছেন। ২০১৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে এসে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করেছিলেন আফ্রিদি। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আফ্রিদি। তিনি পাকিস্তানের হয়ে ২৭টি টেস্ট, ৩৯৮টি একদিনের ম্যাচও ৯৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১১ সালে দেশের হয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের নেতৃত্বও দেন শহীদ আফ্রিদি। সূত্র : ওয়েবাসইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন