সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মাদারীপুরে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে রানা মৃধা (২৫) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শ^শুরবাড়ির লোকজন রানার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে প্রচার করলেও রানাকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পারিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার ভোর রাতে জেলার রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সাতারিয়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের আক্কাস মৃধার ছেলে রানা মৃধার সাথে পার্শ^বর্তী সাতারিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর খন্দকারের কলেজ পড়–য়া মেয়ে মাফুজা খন্দকার পিপাসার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে দু‘বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হলেও বিষয়টি পিপসার মা মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত।
বর্তমানে রানা-পিপাসা দম্পতির এক বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। পিপাসা বর্তমানে অনার্সে পড়ছে আর রানা পড়াশুনা জানে না এবং তার কোন আয় রোজগারও তেমন নেই। এ নিয়ে শশুড়বাড়ি বেড়াতে গেলেই পারিবারিক দ্বন্ধ শুরু হতো। গত শুক্রবার রাতে রানা শশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে আবারো তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার সকালে শশুরবাড়ির লোকজন ফোন দিয়ে জানায় রানা খুব অসুস্থ। পরে পরিবারের লোকজন ঐ বাড়িতে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় রানাকে ঘরের মধ্যে দেখতে পায়। পরে তড়িঘরি করে রানাকে রাজৈর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত রানার বাবা আক্কাস মৃধার বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জের ধরে আমার ছেলেকে তার শ^শুরবাড়ির লোকজন রাতে প্রচন্ড মারধর করে অমানবিক অত্যাচার চালায়। এবং নির্যাতন শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে রাখে।’ এ ব্যাপারে রাজৈর থানার ওসি (অপারেশন) ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় রানা নামক এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন