সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ‘শাহবাগে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ছাত্রলীগের হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,’ ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও,’ ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই,’ ‘১০%-এর বেশি কোটা নয়’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের দুপাশে অবস্থান করছে দুই শতাধিক সশস্ত্র পুলিশ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন যুগান্তরকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। পুলিশ হামলা করলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। আমরা কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা চাই না।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তখন মিছিল শেষে আজ সব ধরনে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটা সংস্কারে তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও দাবি যৌক্তিক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে কোটার সংস্কার করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন