সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার ঃ ব্রাহ্মি শাক ব্রেইনের জন্য উপকারী। তেলাকচু ডায়াবেটিসের জন্য মহৌষধ। কচুর পাতা চোখের জন্য ভাল। আর থানকুনি তো সবার চেনা। এমনই চেনা-অচেনা বিভিন্ন প্রজাতির শাক কুড়িয়ে এনেছিলেন গ্রামের বধূরা। এই শাক নিয়ে বসেছিল পাড়া মেলা। কুড়িয়ে পাওয়া শাক দেখতে ও কোন শাক, কোন লতাপাতার কি গুণ তা জানতে মেলায় এসেছিলেন গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলেই। বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এই পাড়া মেলার আয়োজন করে। মেলায় ১৫জন গৃহবধূ গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে কুড়িয়ে এনে কচুর ডাটা, তেলাকচু, থানকুনি, কলমি, ব্রাহ্মি, জাত কুমড়ার ডাটা, দস্তা কচু, কলমি, হেলাঞ্চ, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, পেপুল, বুনো ধনে পাতাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রজাতির ভেষজ ও খাদ্যগুণ সম্পন্ন শাক-লতাপাতা প্রদর্শন করেন। এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শাক প্রদর্শন করে প্রথম স্থান অধিকার করে মাছখোলা গ্রামের ফাতেমা খাতুন, দ্বিতীয় হন সাথী বেগম ও তৃতীয় হন আসমা বেগম। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রকৃতি সংরক্ষক খ্যাত রুহুল কুদ্দুস। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম, যুব সংগঠক ফজলুল হক, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য সাইদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম ও মফিজুল হক।
মেলায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত এসব খাদ্যগুণ সম্পন্ন শাক-লতাপাতার ব্যবহার বৃদ্ধি করে গ্রামীণ মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত ও এগুলো সংরক্ষণের আহŸান জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন