কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন মিগেল দিয়াস-কানেল। রাউল ক্যাস্ট্রোর স্থালাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পর উদ্বোধনী ভাষণে মিগেল বলেন, তিনি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে কিউবা বিপ্লবের গুরুত্ব ধরে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান। তার আমলে কিউবার পররাষ্ট্র কৌশল ‘অপরিবর্তিত থাকবে’ এবং জরুরি প্রয়োজনে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে শুধুমাত্র কিউবার জনগণই সে সিদ্ধান্ত নেবে। “পুঁজিবাদ ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত যারা করছে তাদের কিউবায় কোনো স্থান নেই,” বলেও সতর্ক করেন তিনি। ভাই ফিদেল ক্যাস্ত্রো অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ২০০৮ সালে কিউবার ক্ষমতায় এসেছিলেন রাউল। নতুন প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস-কানেল তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গত পাঁচ বছর তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের অধিবেশনে বুধবার কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যরা ৫৭ বছর বয়সী এ প্রকৌশলীকে প্রেসিডেন্ট পদের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বেছে নেন। ১৯৫৯ সালের বিপ্লবে মার্কিন মদদপুষ্ট একনায়ক বাতিস্তাকে উৎখাতের পর পাঁচ দশক কিউবা ছিল ফিদেলের নেতৃত্বে। তিনি ১৯৭৬ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সংবিধানে প্রেসিডেন্টের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়ায় ওই বছরই পদ বদলে বসেন রাষ্ট্রের শীর্ষপদে। যার পরিসমাপ্তি ঘটে ভাইয়ের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর। গত এক দশক ধরে দেশ পরিচালনা করা ৮৬ বছর বয়সী রাহুল স¤প্রতি ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে রাউল প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে গেলেও ২০২১ সালের পরবর্তী কংগ্রেস পর্যন্ত কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান থাকবেন তিনি। ফলে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রেও তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ক্যাস্ট্রো ভ্রাতৃদ্বয়ের পর মিগেলই হলেন একদলীয় সোশালিস্ট রাষ্ট্র কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট, যার হাতে ক্ষমতা সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছেন কিউবা বিপ্লবের সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া গেরিলা প্রজন্ম। তুলনামূলক তরুণ এ নেতাকে রাউলের শুরু করা অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াসহ প্রবৃদ্ধি বাড়ানো এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন