সাতক্ষীরায় স্বামী পরিত্যক্তাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম শিপন ওরফে আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১২টায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম শিপন ওরফে আলমগীর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর বহ্মরাজপুরের ওয়াজেদ আলী ঢালীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম শিপন ওরফে আলমগীর কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়নের শেখপাড়ার হেকমত শেখের বাড়িতে পালিত ছেলে হিসেবে থাকতো। সে পাশর্শবর্তী মুড়াগাছা এলাকায় কয়েকটি গাছ ক্রয় করে তা কাটার জন্য ওই এলাকার আকবার আলীর বাড়িতে কয়েকদিন থাকার জন্য আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই রাতে আকবার আলীর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে সালমা খাতুন খুকু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে আলমগীর তার ঘরে ঢোকে এবং জোরপূবর্ক ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যার পর তার নকিয়া মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আলমগীরকে আটক করে ওই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এবং তাকে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় আকবার আলী বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আলমগীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
ওই মামলায় ২০জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং জব্দকৃত আলামত পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ফাঁসির আদেশ দেন।
সাতক্ষীরা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তপন কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, আসামি পলাতক রয়েছে। সে আটক হবার কিছুদিন পর জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন