শরীয়তপুরের সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী লিজা (১১) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ: ছালাম খান। ০৩ ফেব্রæয়ারী বুধবার বেলা ১১টার দিকে আসামীদের উপস্থিতিতে রায়ের এই আদেশ পাঠ করে শুনান তিনি। এই সময় রাষ্ট্র পক্ষের পিপি এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ ও আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শাহ আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন সখিপুর সরদার কান্দি গ্রামের মৃত ছামেদ শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৪০) ও আ. রাজ্জাক শেখের ছেলে জাকির শেখ (৩২)।
মামলার এজাহার ও আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, লিজা বাই সাইকেল চালাতে পছন্দ করত। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই বেলা সারে ১১টার দিকে লিজা বাইসাইকেল চালাইতে ছিল। ওই সময় আসামীদ্বয় টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আলাউদ্দিনের চৌচালা টিনের ঘরে নিয়ে লিজাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করার ভয়ে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিত ভাবে লিজাকে হত্যা করে পাঠক্ষেতে ফেলে দেয়। সখিপুর থানা পুলিশ সন্দেহাতিত ভাবে ফরিদ ও জাকিরকে গ্রেফতার করে। পরে ফরিদ ও জাকির আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এই বিষয়ে লিজার পিতা লেহাজ উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। ২০১৮ সালের ৪ জুন এই মামলায় চার্জ গঠন পরবর্তী বিচার কার্য শুরু হয়। অভিযোগ পত্রে মানিত ৯ জন সাক্ষির মধ্য থেকে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ৩১ জানুয়ারী যুক্তিতর্ক সমাপ্ত হয়।
এই বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বলেন, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে শিশু লিজাকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে উভয় আসামীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ ও লাশ গুম করার অপরাধে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের যুগোপযোগী এই আদেশকে রাষ্ট্র পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। আশা করছি আদালত ধর্ষকের বিরুদ্ধে এই ধরণের আদেশ অব্যাহত রাখলে সমাজ ধর্ষণ ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন