রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের পিচ কথা বলছে ব্যাটসম্যানদের সুরে। টানা দ্বিতীয় দিনেও সেখানে রাজত্ব করল ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দিনেই চারশোর্ধো সংগ্রহ গড়া মধ্যাঞ্চল গতকাল অল আউট হওয়ার আগে তোলে ৫৪৬ রান। জবাবে মাত্র ৪৬ ওভার ব্যাট করেই ২৬৪ রান তুলে ফেলেছে পূর্বাঞ্চল। উইকেট হরিয়েছে মাত্র ৩টি।
আগের দিন বাউন্সারের আঘাতে হাসপাতাল ঘুরে এসে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদমান ইসলাম। সেঞ্চুরি করার পর হ্যামিস্ট্রিং চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তারই সতীর্থ আব্দুল মাজিদকে। গতকাল আবার ব্যাটে নেমে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্বিশতক তুলে নেন মধ্যাঞ্চলের এই ব্যাটসম্যান। সঙ্গে বাকিদের অবদানে বড় সংগ্রহই গড়ে মোশাররফ হোসেনের দল। তবে এত সংগ্রহের পরও স্বস্তিতে নেই তারা।
অস্বস্তির প্রধান কারণ লিটন দাশের খুনে ব্যাট। টি-২০ স্টাইলে ব্যাট করে ১৩৯ রান করে এখনো অপরাজিত আছেন লিটন। তার ১২৫ বলের ইনিংসে রয়েছে চার ২৩টি, ১টি ছক্কা। ৫৩ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে মুমিনুল হকের বিদায়ের পর তাসামুল হকের সঙ্গে ১৪৬ রানের জুটিতে নেতৃত্ব দেন লিটন। ৯৩ বলে ১১ চারে তাসামুল ৬৭ রান করে ফিরলেও দিনের বাকি সময়টা আফিফ হোসেনকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৬৩ রানের জুটিতে কাটিয়ে দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আফিফ অপরাজিত আছেন ৩১ রানে। পূর্বের তুলে নেয়া তিন উইকেটের মধ্যে দুটি নেন শুভাগত হোম। দুটিই মুমিনুল ও তাসামুলকে কট এন্ড বোল্ড করে।
৪ উইকেটে ৪০৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা মধ্যাঞ্চল চা বিরতির আগে গুটিয়ে যায় ৫৪৬ রানে। আগের দিন ১৫৯ রান করে আহত অবসর নেয়া মাজিদ এদিন ব্যাটে ফিরে যোগ করেন আরো ৪৪ রান। এনামুল হক জুনিয়রের বাঁহাতি স্পিনে আউট হওয়ার আগে ২০৫ রানের ইনিংসটি ২২টি চার ও ৮টি ছক্কায় সাজান মাজিদ। এছাড়া ৭৬ বলে ৭১ রান করেন শুভাগত হোম। নয় নম্বর ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ শরিফের ব্যাট থেকেও আসে কার্যকরী ৪১ রানের ইনিংস। পূর্বের হয়ে ৫ উইকেট নেন সোহাগ গাজি। তবে এজন্য তাকে গুনতে হয়েছে ১৮৮ রান। এ নিয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১৪ বার ৫ উইকেট পেলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন