সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

দুই কোরিয়ার সুসম্পর্ক চীন সীমান্তে বাড়ছে আবাসন সম্পত্তির দাম

| প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দুই কোরিয়ার মধ্যে এখন মধুর সম্পর্ক। কোরীয় উপদ্বীপের এ উষ্ণ সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কে নাটকীয় পরিবর্তনের সুবাদে চীনের সীমান্তবর্তী শহরগুলোয় আবাসন সম্পদের দাম হু হু করে বাড়ছে। চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী শহর দাংডং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পরমাণু কার্যক্রম চর্চার জেরে গত বছর দেশটির ওপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই শহরটি অনেক নির্জীব হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞার ফলে চাপের মুখে পড়ে সামুদ্রিক খাবার, বস্ত্রসহ অন্যান্য কমোডিটি পণ্য বাণিজ্য। সে সময় চীনের শিল্প-কারখানায় কর্মরত উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার শ্রমিক দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। দুই কোরিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকে এ দৃশ্যপট আবার বদলাতে শুরু করেছে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে দাংডংয়ে আবাসন সম্পদের দাম বাড়ছে। সামনে দাম আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অঞ্চলটির জন্য এটি অভাবনীয় সৌভাগ্য। কারণ কিছুদিন আগেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল, কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ শুরু হলে শহরটি উত্তর কোরিয়ার শরণার্থী এবং পরমাণু তেজস্ক্রিয়তায় ভরে যাবে।
কিন্তু গত ২৬ এপ্রিলেই বোঝা গেছে রীতিমতো কিছু একটা পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। সেদিন দাংডং প্রোপার্টি রেজিস্ট্রেশন অফিসের দরজায় একটি নোটিশ টাঙানো হয়। সেখানে বলা হয়, ‘সম্পত্তি হস্তান্তর নিবন্ধনের আবেদন সম্প্রতি আমাদের দৈনিক ২৬০টি সক্ষমতাকে অতিক্রম করে গেছে।’ মার্চের শুরুতে যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন তার প্রথম বিদেশ সফরে চীন আসেন, তখনই দাংডংয়ে বাড়ির ক্রেতাদের সমাগম বাড়তে থাকে। আইজিয়া রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সিইও লি শিইয়ু বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে এখানে সম্পত্তির বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া বা বাড়ি ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক বেড়েছে। দৈনিক কমপক্ষে ২০টি ফোন পাচ্ছি আমি। এসব ফোনের মধ্যে কমপক্ষে ১০টি থাকছে সেসব ক্রেতা, যারা এরই মধ্যে সম্পদ কেনার জন্য এলাকাটি ঘুরে দেখে গেছে।’
ইয়ালু রিভারের উত্তরাঞ্চলীয় তীর ঘেঁষে এ দাংডং শহর অবস্থিত। তীর থেকে অপর পাশে থাকা উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত প্রহরী এবং সেনাদের দেখা যায়। নদীটি দিয়ে নিয়মিতভাবে টহল নৌকাগুলো চলাচল করে। দুটি সেতুর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ দুটিকে সংযুক্ত করা হয়েছে যার মধ্য দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা এবং রেলপথ রয়েছে।
ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার পর এক বছর আগের তুলনায় মার্চে দাংডংয়ে নতুন বাড়ির দাম তিন দশমিক সাত শতাংশ কমে যায়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন