বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

মালয়েশিয়ার নির্বাচন কাজে লাগবে কি মাহাথির ম্যাজিক?

| প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মালয়েশিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় একটি ভিডিও নজর কাড়ার মতো। এই ভিডিওতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ২২ বছর ধরে যিনি মালয়েশিয়া শাসন করেছেন এবং মালয়েশিয়াকে বদলে দিয়েছেন। মাহাথির মোহাম্মদের বয়স এখন ৯২। আর এই বয়সে তিনি নির্বাচনে নেমে চ্যালেঞ্জ করছেন তারই সাবেক দল ইউএনএমও’কে।
“আমি বড়ো হয়ে গেছি”, ভিডিওতে একটি ছোট মালয়ী বালিকাকে বলছেন তিনি। “আমার আর বেশিদিন নেই। দেশকে পুনর্গঠনের জন্য আমাকে কিছু কাজ করতে হবে। কারণ হয়তো আমি নিজেই অতীতে কিছু ভুল করেছি, সেজন্যে।”
মালয়েশিয়ার নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের প্রত্যাবর্তন এই নির্বাচনী লড়াইকে হঠাৎ যেন আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এটি বিরোধী জোটকেও উজ্জীবিত করেছে। ২০১৫ সালে আনোয়ার ইব্রাহীমকে কারাবন্দী করার পর যে জোট ঝিমিয়ে পড়েছিল।
মালয়েশিয়ার রাজনীতি এবং নির্বাচনে অনেক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে। মাহাথির মোহাম্মদ যার বিরুদ্ধে নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সেই প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাককে তিনিই নিজের উত্তরসুরি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আর এখন তিনি নাজিব রাজ্জাককে চ্যালেঞ্জ করার জন্য যার সঙ্গে জোট বেঁধেছেন, সেই আনোয়ার ইব্রাহীমও তার একসময়ের রাজনৈতিক শিষ্য, পরবর্তীতে ঘোরতর রাজনৈতিক শত্রæ। তিনি আনোয়ার ইব্রাহীমকে জেলে ভরেছিলেন, সমকামিতার অভিযোগ এনে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত ধ্বংসের চেষ্টা করেছিলেন।
মালয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদের ক্যারিশমা এবং বুদ্ধিমত্তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো একমাত্র বিকল্প নেতা হিসেবে ভাবা হতো আনোয়ার ইব্রাহীমকে। মাহাথির মোহাম্মদ যখন প্রধানমন্ত্রী, আনোয়ার ইব্রাহীম তখন উপ-প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ১৯৯৭ সালে যখন এশিয়ায় অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিল, তাদের দুজনের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটলো।
আনোয়ার ইব্রাহীমকে বরখাস্ত করলেন তিনি। তখন আনোয়ার ইব্রাহীম তার নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। কিন্তু মাহাথিরের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ফল তাকে ভোগ করতে হলো। সমকামিতার অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হলেন, যে অভিযোগ তিনি সব সময় অস্বীকার করেছেন। তাকে জেলে ঢোকানো হলো।
মাত্র ২০১৩ সালেও মাহাথির মোহাম্মদ বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আনোয়ার ইব্রাহীম অনৈতিক জীবনযাপন করেন, তিনি দেশের নেতৃত্ব দেয়ার অনুপযুক্ত।
কিন্তু এখন তিনি কী বলছেন? দুই বছর আগে নিজের দল ইউএনএম্ও ছেড়ে বিরোধীদের জোটে যোগ দিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ এখন মনে করেন, “তরুণ বয়সে আনোয়ার কিছু ভুল করেছেন, তার জন্য যথেষ্ট শাস্তি তিনি পেয়েছেন।”
“আমাদের এক সঙ্গে কাজ করাটা খুব গুরুত্বপ‚র্ণ। আনোয়ারের পরিবার আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যাতে আমরা নাজিব রাজ্জাককে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারি।”
মাহাথিরের এই বাড়িয়ে দেয়া বন্ধুত্বের হাত কীভাবে নিচ্ছে আনোয়ার ইব্রাহীমের পরিবার? তারা মনে করে বিরোধীদের এখন এরকম একটা ব্যাপক ভিত্তিক জোটের দরকার আছে, দরকার আছে মাহাথিরের উচ্চতার একজন নেতার।
আনোয়ার ইব্রাহীমের কন্যা নুরুল নুহা বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে হয়তো ব্যাপারটা খুব কষ্টের। কিন্তু আপাতত আমরা সেটা পাশে সরিয়ে রাখতে চাই। এটি মালয়েশিয়ার ভবিষ্যতের ব্যাপার।”
কিন্তু ৯২ বছর বয়সে মাহাথির মোহাম্মদ কি পারবেন তার সাবেক শিষ্য নাজিব রাজ্জাককে ক্ষমতাচ্য‚ত করতে?
জনসভার মঞ্চে তার আবেদন এখনো আগের মতোই। জনতাকে উজ্জীবিত করতে পারেন তিনি। এই বয়সেই টানা আধ ঘন্টা বক্তৃতা দিতে পারেন দুপায়ে দাঁড়িয়ে। তার বক্তৃতায় তিনি তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাককে। কথিত দুর্নীতি এবং জাতীয় সম্পদের অপচয়ের জন্য কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
“আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী যে, তাকে আমিই পদোন্নতি দিয়ে এই পর্যায়ে তুলে এনেছি, এটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আমি সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই।”
মাহাথিরের সঙ্গে নাজিব রাজ্জাকের তফাৎটা চোখে পড়ার মতো। জনসভায় নাজিব রাজ্জাকের বক্তৃতা অতটা চিত্তাকর্ষক নয়। তিনি জনতাকে সেভাবে উজ্জীবিত করতে পারেন না। কিন্তু শক্তিশালী কিছু বাড়তি সুবিধা তাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
মালয়েশিয়ার নির্বাচন কমিশন কাগজে-কলমে স্বাধীন হওয়ার কথা। কিন্তু এই নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্য ছয় জন বিরোধী নেতাকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছি কিছু প্রশ্ন সাপেক্ষ ‘টেকনিক্যাল’ ইস্যুতে। পোস্টাল ব্যালটের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কেন সপ্তাহান্তে না করে সপ্তাহের মাঝখানে ফেলা হলো, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মালয়েশিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে মালয়ীরা। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ এদের মধ্যেই। যদিও ভারতীয় এবং চীনা বংশোদ্ভ‚তদের মধ্যেও কিছু গরীব আছে। ১৯৮০ এবং ৯০ এর দশকে মালয়েশিয়ার যে নাটকীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সেটার কৃতিত্ব দাবি করে নাজিব রাজ্জাকের দল ইউএনএমও।
নির্বাচনী সভায় নাজিব রাজ্জাক একথা মনে করিয়ে দেন যে, তার দলই মালয়েশিয়ায় মালয়ীদেরকে বিশেষ মর্যাদার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তিনি প্রকারান্তরে এমন ইঙ্গিতও দিচ্ছেন যে, বিরোধীদের ভোট দেয়া মানে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টিকে ভোট দেয়া, যারা ম‚লত এথনিক চীনাদের দল। এ ধরনের বক্তব্য মালয়েশিয়ার বহুজাতিক সমাজে জাতিগণ বিভেদকে উস্কে দিতে পারে। ২০১৩ সালে এথনিক চীনাদের প্রায় সব ভোট পড়েছিল বিরোধীদের বাক্সে। কিন্তু মালয়ীরা যেখানে মোট জনসংখ্যার ষাট শতাংশ, সেখানে নির্বাচনী ফলটা তাদের ভোটেই নির্ধারিত হবে। আর এ কারণেই বিরোধীরা এখন জোট বেঁধেছে মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে, যিনি এই ভোট আকর্ষণ করতে পারবেন।
নাজিব রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বিরোধীদের হাতে সবচেয়ে বড় অস্ত্র দুর্নীতির অভিযোগ। একটি সরকারী বিনিয়োগ তহবিলের শত শত কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার সরকারের বিরুদ্ধে। এর মধ্য প্রায় ৭০ কোটি ডলার নাকি সরাসরি নাজিব রাজ্জাকের ব্যক্তিগণ একাউন্টে রাখা হয়েছিল। নাজিব রাজ্জাকের স্ত্রীর বিলাসবহুল জীবন-যাপন, মালয়েশিয়ার অর্থনীতি, বিনিয়োগের প্রতি চীনা হুমকি, এসবকেও ইস্যু করছে বিরোধীরা। কিন্তু তারা কি পারবে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতায় ইউএনএমও’র ৬১ বছরের নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটাতে? আগামী বুধবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর জানা যাবে এর উত্তর। স‚ত্র : বিবিসি।


যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল উত্তর কোরিয়া
ইনকিলাব ডেস্ক : জনগণকে বিভ্রান্ত না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বলেছে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে তাদের যে আগ্রহ, তা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক চাপের কারণে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। বরং এটি ভাবলে দুই দেশের মধ্যে আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন ব্যাহত হতে পারে। সা¤প্রতিক বছরগুলোয় উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার ধাক্কায় রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মস‚চির রাশ টেনে ধরতে এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরিহার না করা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে যুক্তরাষ্ট্র বারবার উসকানি দিচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা কেসিএনএকে বলেন, ‘কোরিয়া উপদ্বীপ পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে উত্তর কোরিয়ার রাজি হওয়াকে ওয়াশিংটন বারবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অন্যভাবে চাপ প্রয়োগের ফল বলছে যুক্তি দিচ্ছে। এর মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কেসিএনএকে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় কৌশলগণ সরঞ্জাম মোতায়েন করে ও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মানবাধিকার ইস্যুকে টেনে যুক্তরাষ্ট্র বারবার উত্তর কোরিয়াকে উসকানি দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ আচরণ দুই দেশের অনেক কষ্টার্জিত আলোচনার পরিবেশকে নষ্ট করে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। এমনকি এটি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সহায়ক হবে না বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। স‚ত্র : রয়টার্স ও বিবিসি।

চতুর্থবারের মতো রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনের শপথ
ইনকিলাব ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে চতুর্থবারের মতো শপথ নিলেন ভøলাদিমির পুতিন। গণ মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয় লাভের পর গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয় শপথগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের শপথকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের আশঙ্কায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন ছিল। এরইমধ্যে ১৯টি শহরে ১০০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুতিন ২০০০ সালে প্রথমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। টানা দু’বারে আট বছর এই দায়িত্ব পালনের পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি তিনি। কারণ, রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকা সম্ভব না হওয়ায় তাকে এই বদল আনতে হয়েছে। ওই বছর দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং পুতিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার পুতিন প্রার্থী হন এবং জয়লাভ করেন। কখনও প্রধানমন্ত্রী আবার কখনও প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ১৮ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন তিনি। গতকাল সোমবারের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি।
রুশ সংবিধান অনুযায়ী একজন রাজনীতিক ছয় বছরের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এই মেয়াদ ছিল চার বছর। ওই বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের শাসনামলে এই মেয়াদকাল চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। গত মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন। এখন পর্যন্ত এটাই তার সর্বোচ্চ ভালো নির্বাচনি ফলাফল। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নানা অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। অবশ্য আগের নির্বাচনগুলোতেও পুতিনের পক্ষে ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ ছিল।
পুতিনের শপথকে সামনে রেখে গত শনিবার মস্কোসহ বিভিন্ন শহরে পুতিন বিরোধীদের বিক্ষোভে দাঙ্গা পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। মস্কো থেকে বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রাশিয়ার বিরোধীরা পুতিনের বিরুদ্ধে গণণন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ করে থাকেন। তাদের ভাষায়, বিরোধীদের সংসদের বাইরে রাখতে পুতিন ‘নিয়ন্ত্রিত গণণন্ত্র’ চালু করেছেন। সূত্র : বিবিসি।

বিদেশি বাহিনীতে নেপালিদের যোগদানের বিপক্ষে বাম জোট
ইনকিলাব ডেস্ক : নেপালের ক্ষমতাসীন সিপিএস-ইউএমএল ও সিপিএন-মাওবাদী কেন্দ্রের গঠিত টাস্কফোর্স নেপালী তরুণদের বিদেশী বাহিনীতে যোগদান নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। ভারত ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এবং সিঙ্গাপুর পুলিশে বর্তমানে ৪৪,০০০ এর মতো নেপালী নাগরিক কর্মরত। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে তৈরি করা টাস্কফোর্সের কর্ম-পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ‘নেপালের নাগরিকদের কোন বিদেশী সেনাবাহিনীতে যোগদান নিষিদ্ধ করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিষয়টি সামাল দেবে উল্লেখ করে সুপারিশে বলা হয়, নেপালি নাগরিকদের বিদেশি বাহিনীতে যোগদানের ব্যাপারে ইতোপ‚র্বে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলো ক‚টনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে রদ করতে হবে।
ভারতের সাতটি গোর্খা রেজিমেন্ট, আসাম রাইফেলসসহ সেনাবাহিনীর ৪০টি ব্যাটালিয়নে ৪০,০০০ হাজারের মতো নেপালি নাগরিক কর্মরত। ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতীয় গোর্খাদের ৭০% নেপালের নাগরিক। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর নেপাল, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। এতে চারটি গোর্খা রেজিমেন্টকে ব্রিটিশ আর্মি থেকে ইন্ডিয়ান আর্মিতে যুক্ত করা হয়।
প্রায় ৮০ হাজার সাবেক গোর্খা, আসাম রাইফেলসের ১৭ হাজার নেপালি ও ১১ হাজার বিধবা ভারতের কাছ থেকে কল্যাণ ভাতা পেয়ে থাকেন। তারা ভারত সরকারের কাছ থেকে বছরে ১২ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি পান।
বৃটিশ সেনাবাহিনীতে ৩,৬০০ নেপালি রয়েছে। সিঙ্গাপুরের সেনাবাহিনীতে কাজ করছে ৪০০ নেপালি। সাবেক বৃটিশ গোর্খারা সিঙ্গাপুর পুলিশ বাহিনীর জন্য উপযুক্ত নেপালি বাছাই করেন। বৃটিশ সেনাবাহিনী প্রতিবছর ৬০ নেপালিকে সিঙ্গাপুর পুলিশের জন্য বাছাই করে। স‚ত্র : এসএএম।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন