স্পোর্টস ডেস্ক : এক বছর আগে প্রথমবারের মত দেশটি পায় টেস্ট স্ট্যাটাস। তখন আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রম বলেছিলেন, ‘আমরা আনন্দিত, টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার মাত্র এক বছরের ভিতরেই পাকিস্তানের মত দেশকে প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে। খুব শিগগিরই আমরা সেই ঐতিহাসিক মূহুর্ত উদযাপন করতে যাচ্ছি।’ আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের সেই ঐতিহাসিক ক্ষণটি হতে যাচ্ছে আগামীকাল। বিকাল চারটায় ডাবলিনের মালাহিড স্পোর্টস গ্রাউন্ডে টেস্ট অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে দেশটির।
আইরিশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর এই উক্তিটির ভুলটা হচ্ছে, এখন থেকে ১৮ বছর আগেই প্রথম ও একমাত্র টেস্টটি খেলে ফেলেছিল আইরিশরা! সেবারও প্রতিপক্ষ এই পাকিস্তানই! শুধু খেলাই নয়, ২০০০ সালের জুলাই মাসের দুই দিনের সেই টেস্টে রীতিমত দাপট দেখিয়ে পাকিস্তান নারী দলকে (৫৩ ও ৮৬) ইনিংস এবং ৫৪ রানে হারিয়েছিল আইরিশ নারী দল (১৯৩/৩ ডিক্লে.)! শুধুমাত্র নারীদের বলেই কি-না, দিনটিকে মনে রাখেনি আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট।
অভিজ্ঞ পাকিস্তানের বিপক্ষে নারীদের এই ম্যাচটিই অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে টেস্ট ক্রিকেটের নবাগত আয়ারল্যান্ডকে। তবে আগামীকাল মালাহিডের এই ম্যাচটির আগে নিজেদের কÐিশন এবং কাউন্টি অভিজ্ঞতা থেকেই প্রেরণা খুঁজছেন আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। নিজস্ব কন্ডিশনে সুইং বোলিংকে সহায়তা করার পাশাপাশি ব্যাটসম্যানদের ফেলতে পারে চ্যালেঞ্জের মুখে। উপমহাদেশের স্পিন কন্ডিশনে অভ্যস্ত পাকিস্তানকে সেখানে বেশ সংগ্রামের মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেই মত অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের, ‘ম্যাচটি হচ্ছে মে মাসে এবং আয়ারল্যান্ডে। এটি আমাদের নিজস্ব কন্ডিশন। ঐতিহাসিক ভাবে স্বীকৃত যে, যখন উপমহাদেশের কোন দল সেখানে খেলতে আসে তখন শুরুর দিকে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের কিছুটা কষ্ট হয়।’
পোর্টারফিল্ড নিজেও প্রথম শ্রেনীর কাউন্টি ক্রিকেট খেলায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের একজন। যেখানে তিনি উচ্চ পর্যায়ে লঙ্গারভার্সনের ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। যদিও সেখানে ৫ দিনের পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হয় চার দিনের ম্যাচ।
গøস্টারশায়ার ও ওয়ারউইকশায়ারের সাবেক এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নশীপ ম্যাচে টেস্ট বোলারদেরকেই মোকাবেলা করতে হয়। সাদা বলের ক্রিকেটেও একই অবস্থা। তবে বড় পার্থক্য হচ্ছে সেখানে সবাই খুবই ধারাবাহিক হয়। তারা আপনাকে খুব বেশি খারাপ বল দিবে না। যে কারণে সেখানে রান সংগ্রহ করার সুযোগ কম পাওয়া যায়। আপনাকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয় খারাপ বল থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য। শীর্ষ খেলোয়াড়দের বিপক্ষে বল করাও একই ভাবে কঠিন। তারা আপনাকে সব সময় চাপের মধ্যে রাখবে। আপনাকে সহজেই কোন সুযোগ দিবে না। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে আমাদের সব ব্যাটসম্যানই সেখানে রান সংগ্রহ করে আসছে। আর ওই সেরা ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করেই আমাদের বোলাররা নিয়মিত তুলে নিচ্ছে উইকেট।’
অবশ্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য সেখানে দু’টি অনুশীলন ম্যাচে অংশ নিয়েছে পাকিস্তান। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব কেন্ট ও নর্থহ্যাম্পটনশায়ার। প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জয় দিয়েই নিজেদের অভিজ্ঞতা জাহির করে রেখেছে শরফরাজ আহমেদের দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন