স্পোর্টস রিপোর্টার : ১৯৭৯ আইসিসি ট্রফিতে অংশ নেওয়ার পর থেকেই প্রশ্নটা বারবার এসেছে, বাংলাদেশ কবে খেলবে বিশ্বকাপ? এই প্রশ্নের উত্তর মেলে ১৮ বছর পর। আকরাম খানের নেতৃত্বে শুধু বিশ্বকাপ খেলাই নিশ্চিত নয়, বাংলাদেশ জিতে ফিরল ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফিও। যে সাফল্য বদলে দিল বাংলাদেশের ক্রিকেটকে, দিল নতুন দিনের খোঁজ, সেই সাফল্যের বড় কারিগর গর্ডন গ্রিনিজ আবারও আসছেন বাংলাদেশে। ক্রিকেটীয় কোনো কারণে নয়, বিসিবির আমন্ত্রণে গ্রিনিজ আসছেন সাবেক শিষ্য আর সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে, কথা বলতে, অতীত স্মৃতি রোমন্থন আর বাংলাদেশকে নিয়ে তার আশা-স্বপ্নের কথা বলতে। গ্রিনিজ ঢাকায় পা রাখবেন আজ সন্ধ্যায়। পাঁচ দিনের এই সফরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটা থাকবে ১৪ মে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে। বিসিবি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়েরা বসবেন এক ছাদের নিচে।
আইসিসি ট্রফি জয়ের পর পুরো দলের সঙ্গে গ্রিনিজকে সরকারিভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শেষটা হলো তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই ঐতিহাসিক জয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে গ্রিনিজের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বিদায়ের চিঠি। সে সময় ক্রিকেট প্রশাসকদের সঙ্গে কিছু ব্যাপারে গ্রিনিজের টানাপোড়েন চলছিল। ভেতরে-ভেতরে এত নাটকের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে আরও নাটকীয়তা। সেই ম্যাচটাই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে যায় আরেক ধাপে। চাকরি হারানো গ্রিনিজ তবু সেদিন খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি।
বিদায়টা খুব সুখের না হলেও গ্রিনিজের মনে যে বাংলাদেশের একটা আলাদা জায়গা আছে, তার প্রমাণ মেলে ২০০০ সালে। বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের ক্ষণে। সেবার বিসিবির বিশেষ আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছিলেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েই। গ্রিনিজ আবারও আসছেন বাংলাদেশে। নিশ্চয়ই অনেক গল্প জমে আছে তার মনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন