শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

পিএসজি-বায়ার্নের আক্ষেপ

পিএসজি-বায়ার্নের আক্ষেপ | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : সব পাওয়ার মধ্যেও একটা অপূর্ণতা হয়ত থেকেই যায়। যেমনটা রয়ে গেল পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের। ঘরোয়া লিগের শেষ ম্যাচে এসে ঘরের মাঠে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা দল দুটি।
টানা ৪২ ম্যাচ পর ঘরের মাঠে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে হারের স্বাদ পেয়েছে পিএসজি। আগেই ঘরোয়া ট্রেবল নিশ্চিত হওয়াই এই পরাজয়ে অবশ্য তেমন কোন প্রভাব পড়েনি উনাই এমিরির দলের উপর। তবে ফরাসি জায়ান্টদের ২-০ গোলে হারিয়ে বড় লক্ষ্য অর্জন করেছে রেঁনি। এই জয়ে আসছে মৌসুমে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত হলো দলটির।
পার্ক দেস প্রিন্সেসে এটা ছিল কোচ উনাই এমিরি ও দলের মিডফিল্ডার থিয়াগো মত্তার শেষ ম্যাচ। আসছে মৌসুমে পিএসজি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে কোচিংয়ের দায়িত্বে যুক্ত হবেন মত্তা। বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, জোনোয়া, ইন্টার মিলান হয়ে ২০১২ সালে পিএসজিতে যোগ দেন ৩৫ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান। জন্ম ব্রাজিলে হলেও ইতালিরও নাগরিক তিনি। সেই সুবাদে সেলেসাওদের হয়ে ২টি ও ইতালির জাসি তে ৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়েছেন এই মত্তা। মত্তার বিদায়ের পাশাপাশি প্যারিসের স্টেডিয়ামটিতে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের আনন্দে মাতে পিএসজি খেলোয়াড়রা। দলের দুই ইনজুরি আক্রন্ত ব্রাজিলিয়ান তারকা খেলোয়াড় নেইমার ও দানি আলভেসও এই উৎসবে যোগ দেন।
একই রাতে বিয়ারে ভিজে লিগ শিরোপা উৎসব করে বায়ার্ন মিউনিখও। গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড টানা ষষ্ঠ বুন্দেসলিগা শিরোপা নিশ্চিত করে বায়ার্ন। তবে জার্মান জায়ান্টদের ভাগ্যটাও এদিন ছিল পিএসজির মত। লিগ মৌসুমের শেষ ম্যাচে এসে ঘরের মাঠে ঘরের মাঠে প্রথম হারের স্বাদ পায় তারা। শুধু এই মৌসুমে নয়, গত দুই মৌসুমে ঘরের মাঠে এটি তাদের প্রথম পরাজয়। বুন্দেসলিগায় ঘরের মাঠে টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর পরশু স্টুটগার্ডের কাছে ৪-১ গোলে উড়ে যায় ইয়ুপ হেইঙ্কেসের দল। প্যারিসের মতই ঘরের মাঠে।
আপদকালীন কোচ হিসেবে দায়ীত্ব নেয়া কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কেসের জন্যে বুন্দেসলিগায় এটি ছিল শেষ ম্যাচ। আগামী শনিবার জার্মান কাপের ফাইনালে আইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে শেষবারের মত বায়ার্নের ডাগআউটে দেখা যাবে ট্রেবলজয়ী এই কোচকে। এরপর দলের দায়িত্ব বুঝে নেবেন ফ্রাঙ্কফুর্টেরই বর্তমান কোচ নিকো কোভাচ।
তবে মিউনিখের হার নয়, পরশু রাতটা বুন্দেসলিগা ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে থাকবে হামবুর্গের কারণে। ১৯৬৩ সালে বুন্দেসলিগা চালু হওয়ার পর থেকে বায়ার্ন মিউনিখ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মত দলও লিগ থেকে অবনমনের স্বাদ পেয়েছে। একমাত্র দল হিসেবে এতদিন জার্মানির শীর্ষ ফুটবলে খেলে আসছিল হামবুর্গ। সেই দলটিই ৫৫ বছর পর লিগ থেকে অবনমিত হয়েছে। প্রিয় দলের এমন সোচনীয় অবস্থা মেনে নিতে পারেনি হামবুর্গ সমর্থকরা। ক্ষুদ্ধ হয়ে স্টেডিয়ামের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেয় তারা। মাঠের মধ্যে ছুড়ে মারে ধোঁয়ার বোমা, আগুনের ফুলকি, আতসবাজি। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
লিগে টিকে থাকতে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি আরেক ম্যাচে ভল্ফসবুর্গকে পরাজিত হতে হত। কিন্তু হামবুর্গ ১০ জনের দল নিয়ে বরুশিয়া ম’গøাডবাখকে ২-১ গোলে হারালেও পয়েন্ট তালিকার তলানির দল কোলনকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় ভল্ফসবুর্গ। ফলে হামবুর্গের বিদায় নিশ্চিত হয়। অপরদিকে দ্বিতীয় সারি থেকে উঠে আসা দলের বিপক্ষে প্লে-অফের মাধ্যমে লিগে টিকে থাকার সুযোগ পায় ভল্ফসবুর্গ। গেল মৌসুমে এভাবেই লিগে টিকে ছিল হামবুর্গ। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষে হল না ১৯৮৩ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। রাগে ক্ষেভে হামবুর্গের সমর্থকরা খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ¯েøাগান তোলে, ‘আমরা হামবুর্গের, তোমরা নও।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন