শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

খুলনা সিটির ফল প্রত্যাখান, সিইসির পদত্যাগ দাবি বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৮, ১:১৯ পিএম | আপডেট : ১:২০ পিএম, ১৬ মে, ২০১৮

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের অধিকাংশকেই কেন্দ্র থেকে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছে। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা নেই, সামর্থ নেই আর যোগ্যতাও নেই। ভোট ডাকাতি, ভোট সন্ত্রাস, জাল ভোট, ভোট কেন্দ্র দখল, অবৈধ অস্ত্রের আস্ফালন ছাড়া আওয়ামী লীগের বিজয়নিশানে হাওয়া লাগে না। গতকালের ভোট নিরস্ত্র ভোটারদের ওপর অবৈধ সরকারের অবৈধ ক্ষমতা প্রদর্শণ। আজ সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গতকাল খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এক নজীরবিহীন ভোট ডাকাতির দক্ষ যজ্ঞ জনগণ প্রত্যক্ষ করলো। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে ধানের শীষের ভোটার ও সমর্থকরা যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন তা কোন সুস্থ নির্বাচন পদ্ধতি হতে পারে না। গতকাল ভোটের দিন নৌকার প্রার্থীর লোকজনদের ছিল সীমাহীন আধিপত্য ও বেপরোয়া চলাফেরা। গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা লাইন ধরে বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোট প্রদান করে। অনেক কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার’রা আওয়ামী ঝটিকা বাহিনীকে একচেটিয়া ‘ভোট কাষ্টিং’ এ সহায়তা করে। তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যালট পেপারের বান্ডিলে সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে। কোথাও কোথাও অবশ্য আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের বল প্রয়োগ করে বের করে দেয় এবং কোথাও কোথাও মারধরও করে। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটরা এসব দেখেও না দেখার ভান করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গতকাল ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার লজ্জায় গণমাধ্যমের সামনে না আসলেও ইসি সচিব গণমাধ্যমকে বলেছেন-খুলনা চমৎকার ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। উনি ঠিকই বলেছেন উল্লিখিত ভোটের পরিবেশই হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা মার্কা’ নির্বাচন-যে নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়–য়া ছেলে একই সঙ্গে বাবার সাথে ভোট দিতে পারে, কেন্দ্রে যাবার আগেই ভোটারদের ভোট দেয়া হয়ে যায়, পুলিশের সহায়তায় ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির উৎসব চলে, ভোটার’রা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যালট পেপার আগেই শেষ হয়ে যায়, কেন্দ্র দখল করে আধা ঘন্টায় ১২০০ ভোট দেয়া হয়, তারা বলেছে টার্গেট ১২০০-আধাঘন্টা তো লাগবেই, ভোট কেন্দ্রের বাইরে মুখোশধারীরা বাছাই করে করে কেন্দ্রে ঢুকিয়ে ভোট নেয়া হয়, কেন্দ্র দখল করে লাইন ধরে জালভোটের উৎসব চলে সেরকম নির্বাচনকে তো চমৎকার বলবেনই নির্বাচন কমিশননির্বাচন কমিশন বলেছে যে, ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ৬৫ শতাংশের ওপরে। কিন্তু মূলত: সেখানে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩০ শতাংশেরও কম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
MD.KAIUM ১৬ মে, ২০১৮, ২:৩৯ পিএম says : 0
OWEMELIG IS .........AR DOL
Total Reply(0)
১৬ মে, ২০১৮, ৯:৫৭ এএম says : 0
100 bocorer breedho o. Calaer kandhay koray vote detay gacay ar apne bolan vote hoy nai .
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন