খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রথম কয়েক ঘন্টায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগই মুখ্য। বহু কেন্দ্র ঘুরে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে।
এর পাশাপাশি কিছু কেন্দ্রে এজেন্টদের মারধর, ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দেয়া এবং একাধিক কেন্দ্রে ভোটার তাড়িয়ে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ অবশ্য দাবি করেছেন, যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ইকবালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৭ নম্বর বুথে সিল মেরে ভোট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে।
দৌলতপুরের ৪নং ওয়ার্ডের দেয়ানা উত্তর পাড়া ভোট কেন্দ্রে হামলা হয়েছে।
২১ নং ওয়ার্ডের উদয়ন বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ভোটারদের বের করে দেয়া হয়েছে।
২৪ নং ওয়ার্ডের গণি বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ২২নং ওয়ার্ডের ফাতেমা স্কুল কেন্দ্রের একটি বুথে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরালা, গল্লামারি এলাকার কয়েকটি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার স্কুলে সিল মারা ব্যালট ভোটারদের দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই ওয়ার্ডের কয়লা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়নি সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন।
জেলা স্কুল কেন্দ্রে বাছাই করে ভোটার ঢুকাতে দেখা গেছে। কেন্দ্রের পাশেই মহড়া দিচ্ছে নৌকার সমর্থকরা।
নূর নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য।
১৯ নম্বর ইসলামাবাদ স্কুল কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এরকম ৩০টির অধিক কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে।
তবে প্রথম তিন ঘন্টায় বড় ধরনের গন্ডগোল বা হাঙ্গামার খবর পাওয়া যায়নি। দৌলতপুরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে শান্তিপূর্ণ ভোটের চিত্র দেখা গেছে। ভোটার উপস্থিতিও সন্তোষজনক।
সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন