ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রæপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ১০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আহত হয়েছে উভয় গ্রæপের ৫ জন। গত শনিবার সন্ধ্যায় এমপি রানা ও লেবু সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘাটাইল ও কালিহাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু জানান, গত শনিবার বিকালে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলা আসামি এমপি রানা সহ তার তিন ভাইয়ের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি মোটর সাইকেল মিছিল ঘাটাইল থেকে হামিদপুরে যায়। মিছিলটি হামিদপুর থেকে ঘাটাইল ফেরার পথে খুনি এমপি রানার সমর্থকরা তাদের মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ৩টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ ৭টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ইকবাল হোসেন খান, মাহবুব আলম তপন ও সজল নামে তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ দিকে আ’লীগের হামিদপুর আঞ্চলিক অফিসের আহŸায়ক এমপি রানার অনুসারী মহিউদ্দিন পুলিশ দাবি করেন, গতকাল সন্ধ্যায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী অফিসে বসে আলোচনা করছিলাম। এ সময় ২০/২৫টি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে লেবুর অনুসারীরা অফিসে হামলা চালায় ও উপস্থিত নেতাকর্মীদের গালিগালাজ ও মারধর করে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাঙচুর করে। এ সময় হালিম ও টিটু নামে দুই কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। তারা লেবু অনুসারীদের দাওয়া দেয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন আওয়ামীলীগের দুই গ্রæপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘাটাইল ও কালিহাতী থানার প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থি হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এ ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা ও আদালতে কোন মামলা হয়নি। তবে উভয় পক্ষই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন