শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহিত্য

আলেকজান্ডার পুশকিনের কবিতানিস্তব্ধ শীতল পথ

শাহরিয়ার সোহেল অনূদিত | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ছায়ার দ্বারা আলিঙ্গিত ধীরস্থ চাঁদ

পর্বতবেষ্টিত মেঘের ওপর আবরণ ফেলে
এবং তৃণবহুল ক্ষেত্রের ওপর ম্লান হয়
সে মলিনভাবে ঢালে তার দুঃখের আলো

বন্ধনহীন তৃণ ক্ষেত্রের ওপর নিস্তব্ধ শীতল পথে
শুভ্র ও ভীতিজনকভাবে সে পতিত হয়
স্রেজ গাড়ির ঘন্টার কর্কশ ধ্বনির নিষ্ক্রিয়তার মতো
আমার অবসন্নতা ত্রয়াত্মকভাবে পালিয়ে যায়

চালকের বিরামহীন কণ্ঠ
আমাকে বলে বেশ কিছু কথা
তবে পরিতাপ প্রমোদকে অগ্রাহ্য করে
আমার তেজস্বিতা বিদীর্ণ করে

চারিদিকে বরফাচ্ছন্ন এবং মরীচিকা
চোখকে উল্লসিত করে এমন কোন আলো নেই
দিক নির্দেশক প্রস্তর আমার সম্মুখ হতে
অবিচ্ছিন্নভাবে দ্রুতবেগে দৌঁড়ে পালায়

কিন্তু পরের দিন
আগুনের অস্থির স্ফুলিঙ্গে কুয়াশাময় মরুভূমি
আমি বিষণ্ণতায় ও দীর্ঘশ্বাসে ডুবে যাই
তোমার স্থির দৃষ্টিতে আমার স্থূলবুদ্ধি

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে এর প্রশস্ত আঁকা-বাঁকা পথ
মধ্যরাত্রে আঘাত করে আমার অংশীদারি হয়ে
একদা সবাই চলে যায় কিন্তু
আমি অপেক্ষা করি-একাকী

আমি কি দুঃখিত রাত্রি শেষে তৃণক্ষেত্র এবং
প্রাণহীন জীব চাঁদ অষ্পষ্টভাবে কিছুটা বিলীন
বরফাচ্ছন্ন পথ কুয়াশাময় প্রকৃতি
চালক ঘুমিয়ে পড়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন আকাশ

বিদ্রোহে কর্তন করে

একগুচ্ছ যৌবন আমাদেরকে প্রতারণা করেছিল
তাদের স্বপ্নীল দৃষ্টি এত কোমল যে
তা আমাদেরকে আকাক্সিক্ষত করে
তাদের স্বপ্নরা কুয়াশার মতো অতিক্রম করে এবং
ফেরেনা কখনো তবুও আমরা অপেক্ষায় আছি
হৃদয় জ্বলন্ত অত্যাচারের দাসত্ব আর দেশের ছল চাতুরী
আমরা ক্ষয়িঞ্চু হয়ে দৃষ্টি মেলি মুক্তি চাই
আমাদের বিরামহীন বেদনা
এবং আগ্রহান্বিত প্রতিশ্রুতির পরম সুখ

উষ্ণ প্রেমিকার যৌবনকে উপভোগ করা যায়
যখন দেশের স্বাধীনতার স্ফুলিঙ্গ
আমাদের কণ্ঠ দ্বারা সম্মানিত হয়
যাদের স্বয়ং তেজস্বিতা সম্পূর্ণ এবং অবিভক্ত
তারা এসো জাগরিত চলার পথকে
চমৎকৃত সকালের সম্ভাবনা
চিরন্তন বৃদ্ধ ঘুম হতে দেশকে জাগাবো
বিদ্রোহে কর্তন করে হলুদাভ স্বৈরাচার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন